শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

নতুন মোটরসাইকেল কেনার সময় এই ৭টি টিপস মানুন

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৪, ০১:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

tips

নতুন মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় ভেবে দেখতে হয়। না হলে বাইক কিনে ঠকে যেতে পারেন। তাই তড়িঘড়ি করার আগে এই টিপসগুলি মেনে চলুন। টাকা দেওয়ার আগে এই কিছু জিনিস অবশ্যই যাচাই করে নিন। যাতে আপনার বাইক কেনার যাত্রা সফল হয়।

বাইক হোক বা গাড়ি যেকোনও যানবাহন কেনার আগে তার প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন করা উচিত। যাতে আপনি ভবিষ্যতে গিয়ে ঠকে না যান। এক্ষেত্রে টু হুইলারের ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। মোটা অংক দিয়ে বাইক কেনার আগে তার ফিচার্স, ইঞ্জিন, চেসিস নম্বর-সহ আরও ৪ বিষয় যাচাই করা উচিত। আসুন দেরি না করে ৭টি টিপস জেনে নেওয়া যাক।


বিজ্ঞাপন


tips_2

প্রি ডেলিভারি ইন্সপেকশন

বডি স্ক্র্যাচ: উজ্জ্বল রোদের নিচে বাইকের গোটা চেহারা যাচাই করুন। দেখে নিন কোথাও বডি স্ক্র্যাচ নেই তো। কারণ শোরুম থেকে কিনে নিয়ে আসার পর বাড়িতে আনলে দেখা যায় বাইকে রয়েছে একাধিক স্ক্র্যাচ। সাধারণত নতুন মোটরসাইকেলে স্ক্র্যাচ থাকার সম্ভাবনা কম, তবুও যাচাই করতে ক্ষতি কি।

চেসিস ইঞ্জিন নম্বর: বাইকের চেসিস নম্বর দিয়ে জানতে পারবেন ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট অর্থাৎ কোন সালে এটি তৈরি করা হয়েছে। কারণ অনেক সময় বাইক ২০২২ সালে তৈরি হয় এবং ক্রেতাদের কাছে ডেলিভারি হয় ২০২৩ সাল বা তারও পরে। ইঞ্জিন নম্বর দিয়ে সেটি যাচাই করতে পারবেন।


বিজ্ঞাপন


girl_bike

টায়ার: বাইকের টায়ারেও সমান ভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। টায়ারের গড়ন কোম্পানির দেওয়া স্পেসিফিকেশনের অনুযায়ী যেন এক হয়। পাশাপাশি উক্ত টায়ার যেন পুরনো না হয় সেটিও খেয়াল রাখা উচিত। যাতে পরে গিয়ে টায়ার সংক্রান্ত কোনও সমস্যা যাতে না হয়।

আরও পড়ুন: পেট্রোল আসল নাকি নকল বুঝবেন যেভাবে

চাবি: নতুন বাইকের সঙ্গে দুইটি চাবি দেওয়া হয়। এটি আপনার বাইকের বিমার সঙ্গে জড়িত। তবুও দুইটি চাবি সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত।

লাইটিং: চাবি হাতে পাওয়ার আগে বাইকের হেডলাইট, টার্ন সিগন্যাল ল্যাম্প এবং ডে নাইট ল্যাম্প বা ডিআরএল সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা যাচাই করা উচিত। পাশাপাশি হাই বিম ও লো বিমে লাইটগুলো পরীক্ষা করে দেখে নিন।

byu

ডিসপ্লে ও ফিচার্স: অবশ্যই বাইকের ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ওডোমিটার, স্পিডোমিটার, ট্রিপ মিটার ইত্যাদি দেখে নিন। কারণ এগুলি আপনার রাইডিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। বাইকে যদি ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি থাকে তাও চেক করে নেবেন। শোরুমের কর্মচারীর থেকে সেই ফিচার সংক্রান্ত যাবতীয় কৌতূহল মিটিয়ে নেওয়া উচিত।

ইঞ্জিন: সবথেকে জরুরি বাইকের ইঞ্জিন, যা যে কোনও মোটরসাইকেলের হৃদয়। স্টার্ট দিয়ে ভালো করে যাচাই করে নেবেন ইঞ্জিন থেকে সঠিক ভাবে কাজ করেছে কিনা, বিকট শব্দ বেরোচ্ছে কিনা। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে বাইক কেনার পর আর সমস্যায় পড়তে হবে না আপনাকে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর