রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তনের সঠিক নিয়ম জানেন কি?

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

bike

এখনকার মোটরসাইকেলে চার থেকে পাঁচটি গিয়ার থাকে। গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গিয়ার পরিবর্তন করতে হয়। এতে যেমন ইঞ্জিন ভালো থাকে, তেমনি মাইলেজও ভালো পাওয়া যায়। কিন্তু এই কাজটি অনেকেই নিয়ম মাফিক করেন না। ফলে দ্রুতই ইঞ্জিন বিগড়ায়। জানুন মোটরসাইকেলের গিয়ারে পরিবর্তন সঠিক নিয়ম।

মোটর বাইকের গিয়ার সঠিক উপায়ে কাজে লাগাতে পারলে, বাড়তে পারে সেই বাইকের মাইলেজ। এর জন্য বাইকের গিয়ার লাগানোর সঠিক উপায় জানা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।


বিজ্ঞাপন


bike

মোটরসাইকেল চালানোর সময় গিয়ারের সঠিক ব্যবহার শুধু মাইলেজই বাড়ায় না, রাইডিংকে নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করে তোলে।

এর জন্য বাইকের গিয়ার পরিবর্তনের সঠিক উপায় জানা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাইকের গিয়ার পরিবর্তনের সঠিক উপায়।

১. ক্লাচের সঠিক ব্যবহার


বিজ্ঞাপন


– গিয়ার পরিবর্তন করার সময় সর্বদা ক্লাচ সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা উচিত।

– অর্ধেক চাপা ক্লাচ গিয়ারের ক্ষতি করতে পারে।

– গিয়ার পরিবর্তনের আগে, ক্লাচটি সম্পূর্ণভাবে চাপতে হবে এবং গিয়ার শিফটের পরে, এটি ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে হবে।

gear

২. সঠিক গিয়ার নির্বাচন 

– গতি অনুযায়ী সঠিক গিয়ার সিলেক্ট করতে হবে।

– খুব কম আরপিএমে-এ উচ্চ গিয়ারে স্থানান্তরিত হলে ইঞ্জিনের ওপর চাপ পড়ে এবং মাইলেজ হ্রাস পায়।

– খুব বেশি আরপিএমে-এ নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তরিত হলে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং গাড়ি বেশি ঘষা খায়।

৩. গিয়ার পরিবর্তনের সঠিক সময় –

– দ্রুত গতি বাড়াতে একটি নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তর করা উচিত।

– গতি কমাতে একটি উচ্চ গিয়ারে যাওয়া উচিত।

– একটি সমতল রাস্তায়, প্রায় ২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে দ্বিতীয় গিয়ার, ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে তৃতীয় গিয়ার এবং ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চতুর্থ গিয়ার ব্যবহার করা উচিত।

gear2

৩. গিয়ার পরিবর্তনের এসব বিষয় খেয়াল রাখুন

– গিয়ার পরিবর্তন করার সময় এক্সিলারেটরটি সামান্য চাপা উচিত।

– হঠাৎ গিয়ার পরিবর্তন করা উচিত নয়।

– ঢালু রাস্তায় কম গিয়ারে গাড়ি চালাতে হবে।

– লাল আলোতে নিরপেক্ষ গিয়ারে স্থানান্তর করতে হবে।

– নিজেদের মোটরসাইকেলের ম্যানুয়ালে দেওয়া নির্দেশাবলী অনুসরণ করা উচিত।

এই টিপসগুলো অনুসরণ করে কেবল নিজেদের মোটরসাইকেলের মাইলেজই বাড়ানো যাবে না, ইঞ্জিনের আয়ুও বাড়ানো সম্ভব, পাশাপাশি রাইডিংকে আরও নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক করা যেতে পারে।

gear-pc-2

৪. এছাড়াও মনে রাখা উচিত 

– নিজেদের মোটরসাইকেল নিয়মিত সার্ভিসিং করতে হবে।

– ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্লাচ, গিয়ার এবং এক্সিলারেটর তারগুলো প্রতিস্থাপন করতে হবে।

– সঠিক বায়ুরচাপসহ টায়ার ব্যবহার করতে হবে।

এই সমস্ত জিনিস মাথায় রাখলেই নিজেদের মোটরসাইকেল রাইডিং পুরোপুরি উপভোগ করা যেতে পারে। এবং অধিক মাইলেজ পাবেন।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর