অনেকেই মনে করেন ইলেকট্রিক গাড়ি পরিবেশবান্ধব। কেউবা বলেন ইলেকট্রিকের চেয়ে হাইব্রিড গাড়িই পরিবেশবান্ধব। এই তর্ক-বিতর্কের যেনো শেষ নেই! এই বিতর্কের আগুনে নতুন করে ঘি ঢাললেন মারুতি সুজুকির চেয়ারম্যান আরসি ভার্গব। তিনি দাবি করেন, ইলেকট্রিক গাড়ির থেকে বেশি পরিবেশ বান্ধব হাইব্রিড গাড়ি।
তিনি বলেন, কার্বন ডাই অক্সাইড কমানোর জন্য সরকারের যে লক্ষ্য, তা পূরণ করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বিজ্ঞাপন
ইভির থেকে বেশি পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ি
আরসি ভার্গব দাবি করেন, সম্পূর্ণ ১০০ শতাংশ ইলেকট্রিক গাড়ির থেকে পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ি। কারণ ইভিতে চার্জের প্রয়োজন হয়। আর এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় কয়লা জ্বালিয়ে।
আরও পড়ুন: ইলেকট্রিক গাড়ি কি আসলেই পরিবেশবান্ধব?
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে ইউরোপ ইলেকট্রিক গাড়ি অনেক বেশি বিশুদ্ধ। কারণে সেখানে শক্তির ৩০ শতাংশ আসে কয়লা থেকে। শেষ এক দশকে রিনিউয়েবল গাড়ির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ।
অপরদিকে হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে চার্জিং ব্যবস্থা আলাদা। এই ধরনের গাড়িতে রয়েছে ইন্টার্নাল চার্জিং বা রি-জেনারেটিভ চার্জিং সিস্টেম। এর ফলে গাড়ি চালানোর সময় যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা ব্যাটারিতে পাঠিয়ে দেয় এবং এর ফলে বেশ কিছু কিলোমিটার চার্জ না করেই যাওয়া যায়।
এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি হাইব্রিড গাড়ি বিক্রি হয়। যেমন - মারুতি ইনভিক্টো, মারুতি গ্র্যান্ড ভিটারা, টয়োটা ক্যামরি, টয়োটা ইনোভা হাইক্রস, টয়োটা আর্বান ক্রুজার, হোন্ডা সিটি হাইব্রিড ইত্যাদি। মারুতি সুজুকির পোর্টফোলিওতে হাইব্রিড গাড়ি থাকলেও, এখনও ইভি লঞ্চ করেনি সংস্থাটি। যদিও সেই অপেক্ষা শিগগিরই শেষ হতে চলেছে। ২০২৫ সালে প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করতে পারে মারুতি।
এজেড