শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মোটরযানে কত ধরনের ব্রেক থাকে?

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২২, ০৯:২৭ এএম

শেয়ার করুন:

মোটরযানে কত ধরনের ব্রেক থাকে?

গতিশীল মোটরযানের গতির লাগাম টানতে ব্যবহৃত হয় ব্রেক। যা একটি সেফটি ফিচার। চাকা আবিষ্কারের পরপরই ব্রেকের উদ্ভাবন। গাড়ি, সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল-সব ধরনের যানবাহনে ব্রেক রয়েছে। এই ব্রেকের রয়েছে রকমফের। জানুন বিভিন্ন ধরনের ব্রেক সম্পর্কে।  
 
ডিস্ক ব্রেক

চাকার গতি কমাতে ব্যবহার হয় ডিস্ক ব্রেক। শক্ত ধাতু দিয়ে এই ব্রেক তৈরি হয়। তবে কার্বন–কার্বন ও সিরামিক ফ্রেমওয়ার্ক কম্পোসিটের মাধ্যমেও এই ব্রেক তৈরি হয়। রোটরটি চাকার সঙ্গে ঘুরতে থাকে। রোটরটি চাকার সঙ্গে বোল্টের মাধ্যমে আটকানো থাকে। রোটরের দুই পাশে থাকে রাবার প্যাডিং। ডিস্ক রোটরকে দুই পাশ থেকে চেপে ধরে চাকার গতি কমায় ডিস্ক ব্রেক। এর ফলে দ্রুত গাড়ির গতি কমে অথবা থেমে যায়। মিডরেঞ্জ থেকে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের প্রায় সব গাড়ির চাকায় এই ধরনের ব্রেক ব্যবহার হয়।


বিজ্ঞাপন


breakড্রাম ব্রেক

ড্রাম ব্রেকে চাকার মধ্যে ড্রাম শেপের একটি অংশ থাকে। সেখানে রাবার কুশনিংয়ের মাধ্যমে চাকার গতি কমানো হয়। ড্রাম ব্রেকে রাবার ব্রেক শু ড্রামের ভিতর থেকে চাকা চেপে ধরে। তুলনামূলক কম দামের গাড়িতে এই ব্রেকিং প্রযুক্তি ব্যবহার হয়।

ইমার্জেন্সি ব্রেক

নামেই বোঝা যাচ্ছে এই ব্রেক বিপদের সময় ব্যবহার হয়। ড্রাম ব্রেক অথবা ডিস্ক ব্রেকের সঙ্গে কোন রকম সম্পর্ক ছাড়াই এই ব্রেক সিস্টেম কাজ করে। একাধিক ধরনের ইমার্জেন্সি ব্রেক ব্যবহার হয় গাড়িতে। কিছু গাড়িতে ইমার্জেন্সি ব্রেকের জন্য একটি তৃতীয় প্যাডেল ব্যবহার হয়। অনেক ক্ষেত্রে স্টিয়ারিং হুইলের পাশে থাকে ইমার্জেন্সি ব্রেক লিভার। চাকায় চাপ সৃষ্টি করে গতি কমায় প্রায় সব ধরনের ইমার্জেন্সি ব্রেক। ড্রাম অথবা ডিস্ক ব্রেক কাজ করা বন্ধ করলে এই ব্রেক ব্যবহার হয়। এছাড়াও গাড়ি পার্ক করার সময়ও এই ব্রেক ব্যবহার করেন অনেকে।


বিজ্ঞাপন


breakঅ্যান্টি-লক ব্রেক

আজকাল প্রায় সব গাড়িতেই থাকে অ্যান্টি-লক ব্রেক সিস্টেম। এবিএস থাকলে চাকা লক হয়ে যায় না ফলে গাড়ি পিছলে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। বর্ষার সময় এই ফিচার সুরক্ষিত ড্রাইভিংয়ে সাহায্য করে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর