রোববার, ১৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

ইলেকট্রিক বাইক-স্কুটার কেনার সুবিধা-অসুবিধা কী কী?

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

e bike

জ্বালানি খরচ বাড়ার কারণে মোটরসাইকেলকে পাশ কাটিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইলেকট্রিক বাইক ও স্কুটার। চার চাকা হোক বা দুই চাকা যেকোনো ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার আগে তার সুবিধা-অসুবিধা পরখ করে নেওয়া উচিত। এই মুহূর্তে বাজারে পেট্রোল গাড়িকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ইলেকট্রিক স্কুটি। যেহেতু জ্বালানি ভরার ঝামেলা নেই এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বহু মানুষ কিনতে শুরু করেছেন। তবে বেশ কিছু রেড ফ্ল্যাগও রয়েছে যা মাথায় রাখা দরকার। না হলে পরে গিয়ে আপনার মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। ইলেকট্রিক স্কুটি কেনার সুবিধা-অসুবিধা জানুন।

শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব বলে এই স্কুটার কিনলে চাপে পড়তে পারেন। তাই তার সুবিধা-অসুবিধাগুলো পরখ করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন।


বিজ্ঞাপন


e_bike_2

ইলেকট্রিক বাইক-স্কুটির সুবিধা

রানিং কস্ট খুবই কম, অর্থাৎ চালালে যে খরচ তা পেট্রোল চালিত স্কুটির তুলনায় বেশ কম। এগুলো ব্যাটারি চালিত হওয়ায় অনেকগুলো টাকা বাঁচাতে পারবেন এবং পেট্রোল স্কুটির মতোই (কিছুক্ষেত্রে বেশি) মাইলেজ দিয়ে থাকে।

ইলেকট্রিক স্কুটারে শব্দদূষণ কম হয়। পেট্রল স্কুটারে ইঞ্জিন থেকে যে আওয়াজ বের হয় তার তুলনায় এই স্কুটারে কোনও আওয়াজই বের হয় না। এটি একটি প্লাস পয়েন্ট।


বিজ্ঞাপন


e_bike_pic_2

সর্বোপরি ইলেকট্রিক স্কুটার পরিবেশবান্ধব। এর থেকে কোনও গ্যাস নির্গত হয় না। ফলে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচা যায়। যা একটি বড় কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়াও ইলেকট্রিক স্কুটারে বেশ ভালো স্টোরেজ স্পেস থাকে। নিত্য যাতায়াতের সময় অফিসের ব্যাগ, বাজারের ব্যাগ, জলের বোতল, হেলমেটসহ একাধিক জিনিস বহন করতে পারবেন।

ইলেকট্রিক স্কুটার হালকা হয়। ব্যাটারি এবং ইলেকট্রিক মোটর ছাড়া সেই ভাবে বড় কোনও পার্টস থাকে এটি ওজন অনেক কম থাকে।

e_ike

ইলেকট্রিক বাইক-স্কুটির অসুবিধা

প্রথমে কেনার সময় একটা মোটা টাকা খরচ করতে হতে পারে। যদি আপনি ভালো রেঞ্জ সম্পন্ন স্কুটার কিনতে চান। যেখানে পেট্রোল স্কুটারে কম দামেও ভালো মাইলেজ পাওয়া যায়।

চার্জিং টাইম চিন্তার কারণ। কোনও কোনও স্কুটার রয়েছে যা চার্জ করতে অনেক ঘণ্টা সময় লাগে। যেখানে পেট্রোল স্কুটির ট্যাংকে তেল ভরতে তুলনামূলক কম সময় লাগে।

e-bike-pic

ইলেকট্রিক স্কুটির ব্যাটারি লাইফও খুব বেশি হয় না। আর এই ব্যাটারির দাম অনেক বেশি হয়। তাই ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে গেলে তা কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন।

এখনও দেশে সে ভাবে ইলেকট্রিক স্কুটির জন্য পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি।

এছাড়াও, ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে দূরের পথে যাওয়া যায় না। কোথায় চার্জ দেবেন সেটাও মাথা ব্যথার কারণ। 

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর