ভারতের হিরো মটো কর্পের তৈরি জনপ্রিয় দুইটি মোটরসাইকেল প্যাশন প্রো এবং এক্সট্রিম ১২৫আর। যা সম্প্রতি বাজারে এসেছে। এই দুই মডেলের ইঞ্জিনের ক্ষমতা কাছাকাছি। দামও প্রায় সমানই। এর মধ্য থেকে কোনটি কিনবেন তা অনেকেই ঠিক করে উঠতে পারেন না।
যারা নতুন বাইক কিনতে যাচ্ছেন তাদের কোনটা কেনা উচিত? পছন্দ সম্পূর্ণ নিজস্ব। কিন্তু, দাম ও স্পেসিফিকেশনে তফাৎ জানতে ক্ষতি কি? আসুন দেখে নেওয়া যাক দুই বাইকের ফিচার ও ইঞ্জিনের ক্ষমতা সম্পর্কে।
বিজ্ঞাপন
হিরো প্যাশন প্লাস ও প্যাশন প্রো এই দুটি মডেল এখনও সমান জনপ্রিয়। কিন্তু, নতুন এক্সট্রিম ১২৫ আর লঞ্চ হওয়া পর সেই সব বাইকের চর্চা ক্রমশ কমে আসছে। নতুন বাইকে যা যা সুবিধা হিরো দিয়েছে তা বেশ প্রতিযোগিতামূলক। টিভিএস, বাজাজ, হোন্ডাকে টেক্কা দেওয়ার মতো। কিন্তু, যারা নতুন কেনার পরিকল্পনা করছেন তাদের কোনটা নেওয়া উচিত?
প্রয়োজনীয়তা, বাজেট এবং পছন্দ সম্পূর্ণ নিজস্ব। তবে কেনার দুই বাইকে তুলনা দেখে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিশেষ করে দাম, মাইলেজ, ইঞ্জিন স্পেকস এবং ফিচার্স। দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইঞ্জিনের ক্ষমতা
হিরো প্যাশন প্রো মডেলে পাবেন ১০৫.৫ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা সর্বাধিক ৯.৩ হর্সপাওয়ার এবং ১০.৫ এনএম টর্ক শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। সঙ্গে ৪ স্পিড গিয়ার। বাইকের ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১১ লিটার।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে হিরো এক্সট্রিম ১২৫ সিসি বাইক হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই প্যাশনের থেকে বেশি শক্তি তৈরি করতে পারে। সর্বোচ্চ ১১.৪ হর্সপাওয়ার এবং ১০.৫ এনএম টর্ক। রয়েছে ৫ স্পিড গিয়ার। বাইকের ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১০ লিটার। সর্বোচ্চ গতি ৯৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
হিরো মটোকর্পের দাবি অনুযায়ী, এক্সট্রিম ১২৫আর বাইকের মাইলেজ ৬৬ কিমি প্রতি লিটার এবং প্যাশন প্রোয়ের ৫৮ কিমি প্রতি লিটার। অর্থাৎ মাইলেজে ফারাক রয়েছে। তবে সেটি কতটা পাওয়া যাবে তা বাইক চালক ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
ফিচার্স ও হার্ডওয়্যার
এক্ষেত্রে হিরো এক্সট্রিম এগিয়ে। কারণ এতে ডিস্ক/ড্রাম ব্রেক এবং সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম পাওয়া যাবে। যেখানে হিরো প্যাশন প্রো-তে শুধু দু চাকাতে ড্রাম ব্রেক পাওয়া যাবে। ডিস্ক ব্রেক নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। তবে এবিএস মিলবে না।
হিরো প্যাশন প্রো-তে ডিজিটাল ওডোমিটার থাকলেও বাকি সব অ্যানালগ। এই বাইকে মিলবে না মোবাইল কানেক্টিভিটি বা USB চার্জিং। অন্যদিকে হিরো এক্সট্রিমে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটির সুবিধা রয়েছে। সঙ্গে এলইডি লাইটিং।
দাম কত?
হিরো এক্সট্রিম ১২৫ আর মডেলের দাম ভারতে ৯৫ হাজার রুপি থেকে শুরু। হিরো প্যাশন প্লাসের দাম শুরু হয়েছে ৮২ হাজার রুপি থেকে।
এই দুই মডেল থেকে কোনটি আপনি কিনবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।
এজেড
