ভাঁজ করলে দেখতে ছোটখাটো ব্রিফকেসের মতোই। কিন্তু ভাঁজ খুললে স্কুটারের রূপ নেয়। বলা হচ্ছে হোন্ডার ফোল্ডেবল ইলেকট্রিক স্কুটারের কথা। এই স্কুটার ১৯৮০ সালের দিকে বিক্রি করত হোন্ডা। এই স্কুটারের ইলেকট্রিক ভার্সন আনল জাপানি প্রতিষ্ঠানটি। নতুন মডেলটি মডার্ন অল-ইলেকট্রিক করা হয়েছে।
গ্লোবাল মার্কেটে হোন্ডা এবং আকুরা ডিলারদের কাছ থেকে ই-স্কুটারটি কিনতে পারবেন। দাম ৯৯৫ মার্কিন ডলার।
বিজ্ঞাপন

হোন্ডার নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটারটিকে বলা হচ্ছে ‘ফার্স্ট অ্যান্ড লাস্ট মাইল’ সলিউশন। ই-স্কুটারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল তা ফোল্ডেবল। অর্থাৎ, আপনি যেকোনো জায়গায় স্যুটকেসের মতোই এই বিদ্যুৎচালিত স্কুটারটিকে ভাঁজ করে নিয়ে যেতে পারবেন।
এই ফোল্ডেবল ইলেকট্রিক স্কুটারের নাম মটোকমপ্যাক্টো।
পাওয়ারিংয়ের জন্য নতুন এই হোন্ডা ই-স্কুটারে দেওয়া হয়েছে পার্মানেন্ট ডিরেক্ট ড্রাইভ ইলেকট্রিক মোটর। এটি ফ্রন্ট হুইলের সঙ্গে মাউন্ট করা হয়েছে। ই-স্কুটারটির সর্বাধিক পাওয়ার আউটপুট ৪৯০ কিলোওয়াট। এই মোটর ১৬ নিউটন মিটর টর্ক উৎপাদন করতে পারে।
বিজ্ঞাপন

হোন্ডা দাবি করছে তাদের এই পোর্টেবল ইলেকট্রিক স্কুটার এক চার্জে ২৪ কিলোমিটার পথ চলতে পারে।
ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৬.৮ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার।। একটি ১১০ ভোল্ট চার্জার ব্যবহার করে মাত্র ৩.৫ ঘণ্টার মধ্যেই ই-স্কুটারটি সম্পূর্ণ ভাবে চার্জ করা যাবে।
বাস্তবে এই স্কুটার ১৯ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে পারে এক চার্জে। তার কারণ, স্কুটারটি ডিজাইন করা হয়েছে লাস্ট-মাইল মোবিলিটির জন্য। সেই কারণেই তার রেঞ্জ লিমিটেড।

হোন্ডার নয়া উদ্ভাবিত স্কুটারটি প্রকৃত অর্থেই একটি কমপ্যাক্ট ইলেকট্রিক স্কুটার। খুব সহজেই আপনি এতে চড়ে ট্রাভেল করতে পারবেন। তার থেকেও বড় কথা হল, স্কুটারটি আপনি ফোল্ডও করতে পারবেন। এই ই-স্কুটারের হুইলবেসের পরিমাপ ৭৪১ মিলিমিটার। সিট হাইট ৬২২ মিলিমিটার। স্কুটারের ওজন ১৯ কেজি। অর্থাৎ খুব একটা হালকা না হলেও তা পোর্টেবল।
হোন্ডার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ইলেকট্রিক স্কুটারটিকে তার পূর্ববর্তী প্রজন্মের স্পিরিচুয়াল সাকসেসর। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে মটোকমপ্যাক্টো বাইকটি বিক্রি করত হোন্ডা। সে সময় এতে পাওয়ারের জন্য ছিল একটি ৪৯ সিসির এয়ার কুলড, টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন, যা ২.৪ বিএইচপি শক্তি উৎপাদন করত। ট্রান্সমিশনের জন্য ছিল একটি সিঙ্গেল-ক্লাচ অটোমেটিক ইউনিট।
এজেড

