ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও দারুণ জনপ্রিয় বাজাজের তৈরি বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়কে দেখা যায় বাজাজ ডিসকভার ১২৫। ওপার বাংলার অনেক মানুষকে চালাতে দেখা যায় এই সংস্থার ডিসকভার 125।
কম তেলে দীর্ঘ পথ যাবে অর্থাৎ দারুণ মাইলেজ দেবে এমন বাইকের ক্ষেত্রে বাজাজের নাম না নিলেই নয়। সংস্থাটি শুধু ভারতীয় বাজারে নয় বাংলাদেশের বাজারেও সমান জনপ্রিয়। বিক্রির নিরিখে এ দেশে সংস্থার অন্যতম মোটরসাইকেল ডিসকভার ১২৫ মডেল। নিত্য যাতায়াতে এই বাইকে যেমন কম তেল খরচ করে তেমনই অন্যান্য বাইকের থেকে বেশ কম মেইনটেনেন্স খরচ।
বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের বহু মানুষের কাছে পছন্দের একটি মোটরসাইকেল এটি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই বাইকের বিক্রি ভারতীয় বাজারে ২০২০ সালে বন্ধ করে দেয় সংস্থা। ওই বছর ডিসকভার ১১০ এবং ডিসকভার ১২৫ডিসকন্টিনিউ করে বাজাজ।
টানা ১৭ বছর ভারতীয় বাজার দাপানোর পর বাইকটিকে বিদায় জানায় বাজাজ। বাইকের শেষ রিটেল প্রাইজ ছিল ভারতে ৫৭ হাজার রুপি। ভারতে বন্ধ হলেও বাংলাদেশের বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হয় ডিসকভার ১২৫। কিন্তু আপনি কী জানেন বাংলাদেশে বাইকের দাম কত?

বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশি টাকায় এই বাইকের দাম ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বাংলাদেশের বাইক-প্রেমীদের ভীষণ প্রিয় এই মোটরসাইকেল।
এই মোটরবাইকে রয়েছে ১২৪ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ১১ পিএস শক্তি এবং ১১ নিউটন মিটার টর্ক তৈরি করতে পারে। বাইকের ফুয়েল ক্যাপাসিটি ৮ লিটার। কমিউটার বাইক হিসাবে আদর্শ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফিচার্স ও ডিজাইনের ক্ষেত্রে রয়েছে থ্রিডি ব্যাজিং, এলইডি টেললাইট, ডিআরএল, হেডল্যাম্প, টিউবলেস টায়ার, ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার যেখানে ফুয়েল ব্যাটারি, ইন্ডিকেটর সংক্রান্ত তথ্য দেখা যায়। এই ফিচারগুলো বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভীষণ জরুরি হয়ে উঠেছে।

ব্রেকিং ও সাসপেনশনের কথা যদি বলি তাহলে এতে মিলবে ২৪০ মিলিমিটার ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক এবং ১১০ মিলিমিটার ড্রাম ব্রেক। মিলবে টেলিস্কপিক সাসপেনশন। বাইকের কার্ব ওয়েট রয়েছে ১২৪.৫ কেজি, ইঞ্জিনের ক্ষমতা যতটা ঠিক ততটাই বাইকের কার্ব ওয়েট।
বাংলাদেশে যেই কমিউটার বাইকগুলো বিক্রি হয় তার মধ্যে অন্যতম বাজাজ ডিসকভার ১২৫। ভারতে এই বাইকের বিক্রি বন্ধ হলেও কমিউটার মোটরসাইকেল হিসেবে প্ল্যাটিনা, সিটি ইত্যাদি বিক্রি করে বাজাজ।
এজেড

