বাজাজ তাদের জনপ্রিয় সিরিজ পালসার মোটরসাইকেলের দাম কমিয়েছে। হ্রাসকৃত দাম বাংলাদেশে উপভোগ করা যাবে। তবে পালসার সিরিজে মাত্র একটি মডেলের দাম কমেছে। ওই মডেলটি হচ্ছে-পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক ভার্সন। আগে বাইকটির দাম ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। দাম কমেছে তিন হাজার। এটি নন-এবিএস ভার্সন।
ভারতের বাজাজ অটোমোবাইলসের জনপ্রিয় সিরিজ পালসার। ২০০১ সাল থেকে মোটরসাইকেলপ্রেমীদের মন জয় করে আসছে পালসার। এর অসাধারণ বিল্ড কোয়ালিটি, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং ভালো মাইলেজের জন্য পালসার সব বয়সীদের পছন্দ। এই ডিজাইনে বৈচিত্র্য না থাকলে সবাইকেই এই বাইকে মানায়। ২০২০ সালে বাংলাদেশের বাজারে আসে পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক।
বিজ্ঞাপন
পালসার ১৮০ সিসির মডেল থেকে চেসিস এবং ডিজাইন এনেছে ১৫০ টুইন ডিস্কে। পালসার ১৫০ সিঙ্গেল ডিস্ক থেকে ১৫০ টুইন ডিস্কে রয়েছে অনেক পার্থক্য। মূল পার্থক্যটা হলো টুইন ডিস্কে কিকার নেই। এটা নিয়েই খেদ রয়েছে পালসারপ্রেমীদের।
তরুণদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় পালসার সিরিজের মোটরসাইকেলগুলো। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছে পালসারের ১৫০ সিসির মডেলটি। বর্তমানে বাজারে মডেলটি দুই ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে। একটি এইউজি ৪.৫। যেটাকে অনেকেই সিঙ্গেল ডিস্ক ভার্সন বলে চেনেন। অন্যটি ইউজি ৫ বা ডাবল ডিস্ক ভার্সন। অফিসিয়ালি ভার্সনটির নাম বাজাজ পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক।
১৫০ সিসির পালসারের এই দুই ভার্সনের মধ্যে কোন বাইকটি কিনবেন সেটি নিয়ে অনেকের মনেই দ্বিধা রয়েছে। দুই ভার্সনের ইঞ্জিনের ক্ষমতায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। কিন্তু বাহ্যিক দিকে দিয়ে দুই ভার্সনের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে।
পালসারের ১৫০ সিসির ইউজি ৪.৫ এ ব্যবহার করা হয়েছে সিঙ্গেল ডিস্ক। অন্যদিকে ইউজি ৫ এ রয়েছে ডাবল ডিস্ক। দুই ভার্সনের মূল পার্থক্য অনেকে মনে করে করেন এখানেই।
বিজ্ঞাপন
দুই ভার্সনের ব্রেকিং সিস্টেমে আকাশ-পাতাল তফাৎ আছে। ইউজি ৪.৫ এ আছে ১৩০ মিলিমিটারের সিঙ্গেল ডিস্ক। পেছনে ড্রাম ব্রেক। ইউজি ৫ এর সামনে আছে ১৬০ মিলিমিটারের ফ্রন্ট ডিস্ক। পেছনে ১৩০ মিলিমিটারে ডিস্ক ব্রেক। ফলে ব্রেকিং সিস্টেমে এগিয়ে আছে ডাবল ডিস্ক ভার্সন।
এজেড

