পালসার বাজাজের তৈরি মোটরসাইকেলের সিরিজ। এই সিরিজের বেশ কয়েকটি মডেল রয়েছে। যেগুলো সমানতালে জনপ্রিয়। কিন্তু এর পেছনে কার অবদান রয়েছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না অনেকেই। এমনকি যারা বাজাজের পালসার মোটরসাইকেল চালান তারাও জানেন না।
বাজাজ পালসার যার নতুন করে পরিচয়ের দরকার নেই। এই বাইকে চড়লে যেন পরম তৃপ্তি পান রাইডাররা। গত দুই দশক দেশের বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই মডেলের বাইক। বর্তমানে বাজাজ পালসারের অধীনে একাধিক ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। এর মধ্যে একটি বাইক জগৎজোড়া সুখ্যাতি অর্জন করেছে।
বিজ্ঞাপন
বাজাজ দাবি করে ভারতের প্রথম স্পোর্টস বাইক পালসার। যদিও এটি একটি শক্তপোক্ত গড়নের কমিউটার। আপনি কী জানেন এই বাইকের ডিজাইন কোনও ভারতীয় করেনি। তাহলে কার হাতের জাদুতে তৈরি হয়েছে পালসার। উনি হলেন এডগার হেনরিচ।
বাজাজ প্রোডাক্ট ডিজাইনের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট এডগার হেনরিচ। তিনিই নকশা করেছেন এই বাইক। বাজাজে প্রবেশ করার আগে তিনি কাজ করতেন বিএমডব্লিউ মটোর্যাডে। স্পোর্টস বাইকের নকশার জন্য বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই ব্যক্তি। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাজাজে কাজ করেছেন তিনি।
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাজারে আসে পালসার এনএস২০০ মোটরসাইকেল। গত ১১ বছর ধরে ভারতে বিক্রি হচ্ছে এই বাইক। ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশেও দারুণ জনপ্রিয় মডেলটি। তখন মাসকুলার চেহারার বাইক এলেও পালসারের এই বাইকটি আলাদাই জায়গা করে নেয় বাইক-প্রেমীদের মনে।
বাজাজ পালসার এনএস২০০ এর এই দুরন্ত চেহারার পিছনে সবথেকে বেশি অবদান রয়েছে এডগার হেনরিচ নামক এই ব্যক্তিটির। যার ফলস্বরূপ একাধিক সংস্থার তরফ থেকে মোটরসাইকেলটিকে বাইক অব দ্য ইয়ারের পুরস্কারও দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
টানা ২৩ বছর বিএমডব্লিউ মটোর্যাডের মোটরসাইকেল ডিজাইনের প্রধান ছিলেন তিনি। তারপর ২০০৯ সালে যোগ দেন বাজাজ অটোতে। যদিও ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশিদিন টিকতে পারেনি। ২০২২ সালে বাজাজ অটো ছেড়ে ফের যোগ দেন বিএমডব্লিউতে। বর্তমানে জার্মান সংস্থার মোটরসাইকেল চিফ ডিজাইনার হিসাবে রয়েছেন তিনি।
তার নকশা করা সেরা বাইকগুলো বাজাজ পালসার এনএস ২০০, বিএমডব্লিউ এস১০০০ আর, আর ১১৫০ জিএস, প্যারিস ডারকার র্যালি, এইচপি এনডুরো ইত্যাদিসহ দুরন্ত সব মোটরসাইকেল। এই ৩৭ বছরে বিশ্বজুড়ে একগুচ্ছ দুর্ধর্ষ মোটরসাইকেলের নকশা করেছেন এডগার হেনরিচ।
এজেড

