ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের প্রতি দুর্নিবার আকষর্ণ। ধোনির গ্যারেজে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাইক ও গাড়ি শোভা পায়। নিজেও চালান সেগুলো। সম্প্রতি ধোনিতে দেখা গেল ৫০ বছরের পুরনো একটি ভিন্টেজ গাড়ি চালাতে।
ধোনির গ্যারাজে যে কতগুলি গাড়ি-বাইক রয়েছে তার আন্দাজ সাম্প্রতিক ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও তেই প্রমাণ মিলেছে। পুরনো ভিন্টেজ গাড়ি থেকে দুর্ধর্ষ সব মোটরসাইকেল বড় বড় শোরুমকে হার মানাবে ক্যাপ্টেন কুলের কালেকশন।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ভারতীয় দলের প্রাক্তন জোরে বোলার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ধোনির সেই গাড়ি-বাইকের এলাহী আয়োজন ফাঁস করে দেন একটি ভিডিওতে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সবার। ভারতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার পর মাঝে সাঝেই তাকে বিভিন্ন গাড়ি চালাতে দেখা যায়।
এই তো কিছুদিন আগেই একটি ভিন্টেজ রোলস রয়েস চালাচ্ছিলেন। তারও কিছুদিন আগে মিনি কুপারে দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে এবার যে গাড়িতে তাকে দেখা গিয়েছে তার বয়স ৫০ বছরের বেশি। এই চার চাকাটি হল
পন্টিয়্যাক ট্রান্স-এএএম। যা ১৯৭৩ সালে সালে প্রথম বাজারে আসে।
রাঁচিতে এই গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছে ধোনিকে। সেই ভিডিও তার অনুরাগীদের চোখে পড়তেই ক্যামেরাবন্দী হয়ে যায়। আর ইন্টারনেটে আসতেই তড়িৎ গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করে সেই ভিডিও। কেউ কেউ কমেন্টে লিখেছেন, ধোনি সত্যিকারের একজন গাড়ি-বাইক প্রেমী।
পন্টিয়্যাক একটি আমেরিকান প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৭ সাল থেকে গাড়ি বানাচ্ছেন তারা। মার্কিন মুল্লুকে ফোর্ডের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের লড়াই দারুণ উপভোগ করতেন মানুষ। যদিও ২০০৯ সালে ঝাঁপ বন্ধ করতে হয় পন্টিয়্যাককে। এই কোম্পানির একটি অনবদ্য সৃষ্টি ট্রান্স এএম মডেল।
বিজ্ঞাপন
এই গাড়িটি মোট তিনটি জেনারেশন বাজারে ছাড়ে পন্টিয়্যাক। এই গাড়িকে ফায়ারবার্ড বা আগুনপাখি বলে সম্বোধন করত মানুষ। কেন জানেন? গাড়িটির শক্তি সর্বোচ্চ ১৭০০ হর্সপাওয়ার এবং টপ স্পিড ৪০০ কিলোমিটারের বেশি। এক সময় এই গাড়ির সামনে টিকতে পারত না বড় বড় চার চাকাও। চোখের পলকে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি স্পর্শ করতে পারত এই সুপার কারটি।
বয়সে বুড়ো হয়ে যাওয়া এবং সংস্থার তরফে নতুন জেনারেশন না আসার ফলে গাড়িটি এখন জায়গা পেয়েছে একাধিক দেশের মিউজিয়ামে। আবার কেউ কেউ কোটি কোটি টাকা খরচ করে গাড়িটি সংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখে দেন। আসলে এই গাড়িটি শুধু দামি নয়, এটিকে যত্নে রাখার জন্যও বিপুল টাকা খরচ করতে হয়।
ধোনির কালেকশনে এটি ছাড়াও একাধিক ভিন্টেজ গাড়ি রয়েছে। যেমন নিশান জঙ্গা, রোলস রয়েস, মিনি কুপার ইত্যাদি। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই রাঁচির রাস্তায় টহল দিতে বেরিয়ে পড়েন তিনি।
এজেড

