মোটরসাইকেল জনপ্রিয় বাহন। নানা কাজে এই বাহনের ব্যবহার রয়েছে। তাই এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন নেওয়া জরুরি। জানুন মোটরবাইকের সার্ভিসিং ও মেইনটেন্যান্স সম্পর্কে।
ইঞ্জিনের তেল বদলান
বিজ্ঞাপন
ইঞ্জিনে যে তেল ভরছেন তার গুণগত মানই আপনার সফরের গুণ ও ইঞ্জিনের মেয়াদ ঠিক করে। ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে, মসৃণ সফর দেয় এবং ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশকে লুব্রিকেট করে। নোংরা ইঞ্জিন তেল জ্বালানির ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং ইঞ্জিনেরও ক্ষতি করে। তেলে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হলে তা ভেতরের ক্ষতি করে। প্রত্যেক সার্ভিসের পর তেলের পরিমাণ দেখে নেবেন এবং যখন যেমন প্রয়োজন সেই অনুযায়ী তা বদলানোর কথা মনে রাখবেন।
টায়ারের যত্ন নিন
বাইকের ধরন এবং কতটা কোন রাস্তায় চালাচ্ছেন বাইক তার ওপর নির্ভর করে টায়ারের অবস্থা। প্রতিনিয়ত বাইকের টায়ারে নজর রাখতে হবে যাতে কোথাও ড্যামেজ হলে তা সঙ্গে সঙ্গে খেয়াল করা যায়। নষ্ট হয়ে যাওয়া টায়ারেই বাইক চালাতে থাকলে চাকা স্কিড হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। টায়ারের প্রয়োজনীয় বায়ুচাপ রয়েছে কি না সেটা দেখাও প্রয়োজন।
এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখতে হবে
বিজ্ঞাপন
বাইকের এয়ার ফিল্টারগুলোর পর্যায়ক্রমে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ ফিল্টারে ধুলা ময়লা, ইট পাথরের টুকরা আটকে যায় এবং বায়ু শোষণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে দহন খুব খারাপ হয় এবং ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখা এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী বদলানো জরুরি, তাতে বাইক টেকসই হয় আরও।
ব্রেকের দিকে নজর রাখুন
রাস্তায় সুরক্ষিত থাকার জন্য ব্রেক অনিবার্য। ব্রেক খুব শক্ত বা খুব আলগা, কোনওটা হওয়াই বাঞ্ছনীয় নয়। ব্রেকে সঠিক সময়, সঠিক পরিমাণ চাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাইকের থামা উচিত। ব্রেকের প্যাড সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায়। প্রয়োজন মতো সেগুলো বদলে ফেলা উচিত। ব্রেকে যদি ক্যাঁচক্যাঁচে শব্দ হয়, তাহলে সেটাই ইঙ্গিত যে এবার তার দেখভাল প্রয়োজন। ব্রেক ফ্লুইডও প্রত্যেক দুই মাস অন্তর বদলানো উচিত।
ক্লাচ অ্যাডজাসমেন্ট জরুরি
টায়ার যেমন বিভিন্ন বাইকের ক্ষেত্রে আলাদা, তেমনই ক্লাচও আলাদা ধরনের হয়। গিয়ার বদলানোর জন্য প্রত্যেক মুহূর্তে ক্লাচ ব্যবহার করতে হয়, এবং সেই ক্লাচ যদি ঠিকভাবে অ্যাডজাস্ট না করা থাকে, যদি বেশি শক্ত বা আলগা থাকে, তাহলে গিয়ার শিফট করতে সমস্যা হতে পারে। এর ফলে বাইকের ক্ষতি হতে পারে। দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। খারাপ ক্লাচ অ্যাডজাসমেন্ট বাইকের জ্বালানি খরচও বাড়িয়ে দিতে পারে।
বাইক পরিষ্কার রাখুন
কেবল বাইক নয়, যেকোনো জিনিস পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। তাতে সেই জিনিস দীর্ঘদিন ভালো অবস্থায় টিকে যায়। নিয়মিত বাইক পরিষ্কার করুন। নিজে পরিষ্কার করার সময়, স্যুইচ ইউনিট, সাইলেন্সার, এবং অন্যান্য যে সমস্ত অংশ পানি লেগে নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেগুলো ঢেকে রাখুন। সঠিক এজেন্ট ও কাপড় ব্যবহার করুন। যখন বাইক ব্যবহার করছেন না তখন ঢাকা স্থানে রাখুন।
এছাড়া বাইকের ব্যাটারির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। ব্যাটারি খারাপ হলে তার প্রভাব পড়ে হেডলাইট, হর্ন, ইন্ডিকেটরেও। এছাড়া অবশ্যই নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে। দায়িত্বপূর্ণ হয়ে রাস্তায় বাইক চালানো উচিত। যেকোনও প্রয়োজনে প্রোফেশনালদের সাহায্য নিতে পিছপা হবেন না।
এজেড

