মোটরসাইকেল বিভিন্ন রঙের হয়। এর মধ্যে লাল এবং কালোই বেশি। এছাড়াও নীল এবং লাল-কাল রঙের সংমিশ্রণে মোটরবাইক দেখা যায়। এছাড়াও সাদা রঙের দ্বিচক্রযান রয়েছে। যা নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে। তবে সবুজ রঙের মোটরসাইকেল খুব একটা দেখা যায় না।
অনেকেই বিশ্বাস করেন সবুজ রঙের বাইক জীবনে ‘ব্যাড লাক’ নিয়ে আসে। সেজন্য এই রঙের বাইক কিছু পিছু-পা হন ক্রেতারা। জানলে অবাক হবেন, এই বিশ্বাস হাল ফিলে নয়। সেই বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে মেনে আসছেন বহু মানুষ।
বিজ্ঞাপন
আজও অনেকেই বিশ্বাস করেন সবুজ রঙের বাইকে দুর্ঘটনা বেশি হয়। এই বাইক কেনা মানে বিপদকে আহ্বান জানানো। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়েও কি এই বিশ্বাস খাটে নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচুর সামরিক কর্মী মারা যান। ঘটনাক্রমে সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রঙ ছিল সবুজ। ঠিক এ কারণেই পশ্চিমের বহু দেশে সবুজ রঙের মোটরবাইক কিনতে চান না মানুষ। তবে এর মধ্যে আশ্চর্য করা তথ্য হল, হারলে-ডেভিডসনের সবুজ রঙের মোটরসাইকেলই একদমই চড়তে চান না বাইকাররা।
এর কারণ হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সামরিক বাহিনী ব্যবহৃত মোটরসাইকেলগুলো ছিল হারলে-ডেভিডসনের এবং যথারীতি তার রঙও ছিল সবুজ। যার ফলে সবুজ রংয়ের মোটরসাইকেলের প্রতি এই পরিমাণ ঘৃণা জন্মেছে মানুষের মধ্যে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সবথেকে বেশি যে মোটরসাইকেলটির ব্যবহার হয়েছিল তা হল হারলে-ডেভিডসন ডব্লিউএলএ। এই মোটরসাইকেলগুলো বার্তা পাঠানো এবং নজরদারি করার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু জার্মান সেনাবাহিনী এই মোটরসাইকেলের নাগাল পেতেই তাদের স্নাইপার এটিকেই লক্ষ্য করতে শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
এই সবুজ মোটরসাইকেল দেখলেই আরোহীকে ধাওয়া করতে শুরু করে জার্মান স্নাইপাররা, তারপর থেকেই সবুজ রঙের হারলে-ডেভিডসন ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয় মানুষ। এছাড়া আরও একটি কারণ রয়েছে, অনেকেই মনে করেন সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত এই সবুজ রঙের মোটরসাইকেলগুলো সংস্কার করে পুনরায় বাজারে বিক্রি করা হত।
বহু গ্রাহকদের দাবি ছিল, দেশের রাস্তায় এই বাইকগুলো আশানুরূপ পরিষেবা দিতে ব্যর্থ, তাই তারা সবুজ রঙের মোটরসাইকেল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। আর এই বিশ্বাস এখনও বহু বাইক চালকদের মনে রয়ে গেছে।
এজেড

