পৃথিবীতে যত মোটরসাইকেল আছে তার প্রতিটির ইন্ডিকেটর এবং টেল লাইট লাল রঙের হয়। মনে প্রশ্ন আসতে পারে এসব লাইট কেন লাল রঙেরই হয়।
বাইকের ইন্ডিকেটর ও টেল লাইট লাল রঙের দেওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথমত রেড লাইটকে বলা হয় ওয়ার্নিং লাইট। আপনার সামনে যদি রেড লাইট জ্বলে ওঠে তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি সতর্কবার্তা। এই সময় সাবধানে থাকতে হবে আপনাকে।
বিজ্ঞাপন
বাইকে টেল লাইট ও ইন্ডিকেটর লাইট লাল হওয়ার পেছনে কারণ হল লাল রঙের আলোর দীর্ঘ তরঙ্গ। অনেক দূর থেকে চালকরা এই আলো দেখতে পান। ফলে পেছন থেকে আসা গাড়ির সতর্ক থাকতে পারে। শুধু বাইক নয় সমস্ত গাড়িতেও টেল লাইট ও ইন্ডিকেটর লাইট লাল রঙের দেওয়া হয়।
কোন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি?
লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি- ৬২০ থেকে ৭৫০ ন্যানোমিটার। লাল আলোর কাছাকাছি রয়েছে কমলা রঙ, যার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ৫৯০ থেকে ৬২০ ন্যানোমিটার। এর পরে রয়েছে হলুদ (৫৯০), সবুজ (৫৭০) এবং নীল ৪৫০ থেকে ৪৯৫ ন্যানোমিটার।
কী কারণে বাইকের সিগন্যাল লাইট টেল লাইট লাল হয়?
বিজ্ঞাপন
প্রথম কারণ দৃশ্যমান্যতা। যেহেতু লাল রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি তাই বহুদূর থেকে গাড়ি চালকরা তা দেখতে পারেন। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
কুয়াশা এবং বৃষ্টিতেও জ্বলজ্বল করে রেড লাইট। দ্রুত গতিতে আসা যানবাহনগুলো ওই রেড লাইট থেকে দেখে সজাগ হয়ে যান। এছাড়া রাতের বেলাতেও টেল ল্যাম্পগুলো দুর্দান্ত দৃশ্যমান্যতা তৈরি করে। যার ফলে দুর্ঘটনার পরিমাণ কমে।
লাল আলোকে সর্বজনীনভাবে বিপদ, সতর্কতা এবং থেমে যাওয়ার প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। পেছনে আসা গাড়ির চালক যদি এই আলো দেখেন তাহলে তিনি সেই অনুযায়ী সাবধান হবেন এবং গাড়ির গতি কমিয়ে দেবেন।
দৃশ্যমান্যতা এবং সতর্কতার পাশাপাশি লাল আলোর টেল লাইট বাইকের নিরাপত্তা হিসাবে কাজ করে। যার ফলে সারা বিশ্বে মোটর ভেহিকেল আইনে লাল রঙের টেল লাইট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্য কোনও রঙের টেল লাইট ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
অটোমোবাইল শিল্পে যেসব গাড়ি, বাইক বা ট্রাক রয়েছে সবার টেল লাইটের রঙ লাল রাখা বাধ্যতামূলক। কেউ যদি টেল লাইটের রঙ পরিবর্তন করার চেষ্টা করে তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।
এজেড

