পিয়াস মিটাতে মেঘছায়া ঘনিয়ে স্রোতের মতো তার নেমে আসা। আকাশ ভাসানো বৃষ্টি এমনই। স্তব্ধ হয় চরাচর। পাললিক গ্রামীণ মাঠের প্রান্তজুড়ে অক্লান্ত এই ধারা। রেহাই পায় না ট্রাফিক সুজ্জিত শহর সড়ক। দর্শক হয়ে থাকে তামাম সৃষ্টিকূল।
উপায় কী? যখন ওপরে মেঘের গর্জন আর বজ্রপাতের চোখ রাঙানি সভ্যতার তাবৎ চলমানতাকে এক কথায় চ্যালেঞ্জ করে বসে, তখন মনে হয় সব যেন মমি। সপ্রাণ কেবলই বৃষ্টি।
এই ক্ষণিকের রেহাই ভীষণ জরুরি। চলমানতার স্বার্থে এই আসমানী ধারাপাত। বিস্তৃত প্রান্তর শুষে নেয় ভবিষ্যৎ রসদ। বিরতির অলক্ষ্যে চলতে থাকে প্রকৃতির বিপুল কর্মযজ্ঞ।
বিজ্ঞাপন
নিস্প্রাণতা সমাধান নয়। বরং সপ্রাণতাই গন্তব্য। বৃষ্টিকালের স্থিরতা বিলাসী নয়, বরং তীব্র গতিময়তার স্বার্থে এই অপ্রতিরোধ্য ধারার ধরায় আগমন। একে বর্ণন সাধ্যে অপারগতা মানবীয় সীমাবদ্ধতার স্বরূপ।

