একটা সময় হাতের লেখার বিকল্প ছিল না। সাজসজ্জায়ও ব্যবহৃত হতো। প্রযুক্তির বিস্তারে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। সাজসজ্জায় তো ভাবা-ই দুস্কর। ঠিক তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান অমর একুশে গ্রন্থমেলা -২৫-এর একটি স্টল সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ হাতের লেখায়।
স্টলটি প্রকাশনী সংস্থা জলধির। শরীর জুড়ে তার হাতের লেখা তথা দেয়াল লিখন। বইমেলায় স্টলগুলো সাধারণত আল্পনা, ঐতিহ্য, শেকড়ের ঘ্রাণ, শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। সেসবের ভিড়ে এরকম ব্যতিক্রম উদ্যোগের কারণ জানা গেল জলধির কর্ণধার কবি নাহিদা আশরাফীর সঙ্গে কথা বলে।
বিজ্ঞাপন
জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতার বিজয়লাভের পর বদলে গেছে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দেয়ালগুলো। গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বিপ্লবের চিত্র। হাতে আঁকা ওই গ্রাফিতি- দেয়াল লিখন দেখে এভাবে স্টল সাজানোর পরিকল্পনা মাথায় আসে বলে জানান তিনি।
ঢাকা মেইলকে নাহিদা আশরাফী বলেন, ‘হাতে লেখার চিন্তাটি এসেছে দেয়াল লিখন থেকে। জুলাই বিপ্লবে আমরা প্রচুর গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন পেয়েছি। তখন থেকে মাথায় কাজ করছিল এবার স্টলটা দেয়াল লিখন দিয়ে সাজাব। প্রথমে মনে হয়েছিল বিভিন্ন বাণী লিখব। পরে ভাবলাম বাণী সবাই লেখে। তারচেয়ে যে লেখকরা আমার এখানে বই লিখেছেন তাদের নাম দেয়ালে থাকলে আরও ভালো হবে। ওই জায়গা থেকেই এটা করা।’

হাতের লেখায় স্টল সাজাতে নিজেরাই রঙতুলি নিয়েছিলেন উল্লেখ করে জলধির কর্ণধার বলেন, ‘দেয়াল লিখনগুলো নিজেরাই করেছি। লেখকরা অংশ নিয়েছেন। তাদের হাতের লেখাও আছে এখানে।’
কবি জানান, ছোটবেলা থেকে দেয়াল পত্রিকার প্রতি ঝোঁক তার। জুলাই গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন দেখে তা চাড়া দিতেই জলধির শরীর সাজিয়েছেন দেয়াল লিখনে।
লেকের পাশে দাঁড়িয়ে আছে জলধি প্রকাশনী। স্টল নং ১৯২-১৯৩। এবারের মেলায় এরইমধ্যে ৩০টির মতো নতুন বই প্রকাশ করেছে জলধি।