এবারের অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাতজনকে দেওয়া হয় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তবে ওই অনুষ্ঠানে পুরস্কার পাওয়াদের পেছনে দাঁড় করিয়ে ফটোসেশন করা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক আর সমালোচনা চলছে। এমন সমালোচনার মুখে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে আর এমন ফটোসেশন রাখা হবে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে ফারুকী এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রুপ ফটোসেশনের এই রেয়াজ এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে আর রাখা হবে না। গ্রুপ ফটোসেশন কোথায় কীভাবে হবে এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
বিজ্ঞাপন
এবছর প্রবন্ধ/গদ্যে পুরস্কার পাওয়া লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানও ছিলেন পেছনে দাঁড়ানো পুরস্কারপ্রাপ্তদের কাতারে। ওই ছবি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পুরস্কার নেওয়ার পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে জাতীয় কবিতা পরিষদের এক অনুষ্ঠানে এসে ক্ষোভ ঝেড়েছেন সলিমুল্লাহ খান।
ফেসবুকের এই আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন- পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের গ্রুপ ফটোসেশন নিয়ে থেকে নানারকম আলোচনা হচ্ছে। আপনারা সবাই জানেন সরকার বা পুরস্কার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে স্টেজেই পুরস্কারপ্রাপ্তদের গ্রুপ ফটোসেশনের একটা রেয়াজ চালু আছে। যেটা নিয়ে আগে কখনো কোনো অভিযোগ ঐরকমভাবে শোনা যায় নাই। কিন্তু আমরাতো সংস্কার করতে আসা সরকার। আমাদের কেন রেয়াজ মানতে হবে? আমাদের মন্ত্রণালয়ে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রুপ ফটোসেশনের এই রেয়াজ এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে আর রাখা হবে না। গ্রুপ ফটোসেশন কোথায় কীভাবে হবে এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ছয় মাস হইলো আমরা একটা খুনি-সাইকোপ্যাথের হাত থেকে মুক্তি পাইছি। জাস্ট ছয় মাস। যে খুনি শত শত মানুষকে গুম করিয়েছে, হাজার হাজার বিরোধী মতের মানুষকে খুন করিয়েছে, জুলাইতে একটা নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে, ইলিয়াস আলীকে গুমের পর হত্যা করে তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে নাটক করেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করিয়ে মানুষ মেরেছে, যে এখনো বিচার প্রক্রিয়া পার হওয়াতো দুরের কথা সামান্য অনুশোচনার ভেতর দিয়েও যায় নাই, যে এখনো আরও খুনের হুমকি দিচ্ছে- তার সঙ্গে শিষ্টাচার? হিটলারের সঙ্গে শিষ্টাচার? আর ইউ সিরিয়াস? সালাম দিয়ে বলতে হবে, ‘প্রিয় খুনি, আপনি আমার প্রণাম গ্রহন করুন?
বিইউ/এমআর