সে যাই হোক-বেহুলার বনবাস, ক্ষুদিরামের ফাঁসি কিংবা প্রাণের রক্তের গঙ্গা!
আমাদের দায়, আমাদের ইতিহাস, আমাদেরই ঐতিহ্য-তা কখনও 'অটিস্টিক অতিথি' নয়, বরং এক মহাবিপ্লবী বাঙালির জয়গাঁথা!
বিজ্ঞাপন
আমাদের রক্ত, আমাদের ভাষা-সে হোক মুক্তির কিংবা স্বাধীনতার অমর কাহিনি।
কিন্তু আজ, প্রতিদিনই যেন আমরা পরাধীন হই,
এ যেন এক অদ্ভুত ধারাবাহিক প্যাকেজ নাটক!
না আছে মৌলিকতা, না আছে গল্পের প্রাণ।
বিজ্ঞাপন
শুধু আছে শোষকের তৈরি এক সাদা কাফনের বুনন!
শিক্ষা গেছে তেপান্তরের ওপারে, ঐতিহ্য হয়েছে বোবা আর সংস্কৃতি পঙ্গু!
তবুও আমরা কী নিদারুণ আত্মতুষ্ট!
নিজেকে গব্বিত বাঙালি ভেবে দম্ভে ফুলে উঠি,
অথচ রক্তে ক্রোধ নেই, হৃদয়ে জাগরণ নেই।
বিশেষ দিবস আসে-বছরে মাত্র একবার!
তখন মিথ্যে আবেগ আর অলীক অনুভূতির ঝড় ওঠে,
তারপর বছরের বাকি দিনগুলোয় ওই জায়গাগুলো হয়ে ওঠে অবহেলার ভাণ্ডার।
সেখানে চলে অপসংস্কৃতির তাণ্ডব,
নেশার মাতাল নৃত্য, ৩৬৫ দিনের অন্ধকার উৎসব।
আমরা পরাজয়ের গ্লানিতে মেতে থাকি,
আমাদের জয়োৎসব হয় পরাধীনতার মসনদে।
আমাদের নেতারা, অভিভাবকের নামে যারা,
তারা আসলে পা-চাটা মোসায়েব, পদ্মশ্রীর খেতাব পাওয়া জংলি জানোয়ার!
এই মুনাফেক দৈত্যদের আর ছাড় দেওয়া নয়!
এই দেশের আসল বীরেরা, যে সূর্য সন্তানরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতার মাটি গড়েছিল,
তাদের আত্মার শপথ নিলাম-
তোমাদের সব শোষণ, প্রতারণার বিচার হবে।
একদিন এই লাল-সবুজের পতাকা পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে উড়বে
আর সে দিনই হবে আমাদের প্রকৃত মুক্তির দিন!
হে প্রিয় জন্মভূমি, আমার মা, আমার মাটির বাংলাদেশ,
আমার প্রাণের দেশ, জীবন দিয়ে ভালোবাসি তোমাকে।
তোমার জন্য আমি বিদ্রোহী, তোমার জন্যই আমি অপরাজেয়!