আজ ৯ ডিসেম্বর। বেগম রোকেয়া দিবস। বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতিবারের মতো এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি পালন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে (টিএসসির বিপরীত পাশে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) বিকেল তিনটায় ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ-২০২৪’ এর কর্মসূচির অংশ হিসেবে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নারীর অধিকার আন্দোলন ও নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া। ১৯০৯ সালে তিনি ভাগলপুরে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ নামে একটি স্কুল স্থাপন করেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯১৭ সালে এই স্কুল ইংরেজি গার্লস স্কুলে এবং ১৯৩১ সালে উচ্চ ইংরেজি গার্লস স্কুলে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু পারিবারিক কারণে রোকেয়া ভাগলপুর ছেড়ে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন।
বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। আর মাত্র ৫২ বছর বয়সে ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় তার মৃত্যু হয়। তার জন্ম ও মৃত্যুর দিনটি রোকেয়া দিবস হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।
বেগম রোকেয়া বিশ শতকের প্রথম দিকে বাঙালি মুসলমানদের নবজাগরণের সূচনায় প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন। বাঙালি মুসলিম সমাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান অধিকার এবং নারী স্বাধীনতার পক্ষে নিজের মতবাদ প্রচার করেন। তার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে- মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী প্রভৃতি।
এমআর