স্পোর্টস ডেস্ক
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর নারীদের খেলাধুলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারা মেয়েদের ১২ বছরের বেশি পড়াশোনা, চাকরি, খেলাধুলা– সবকিছু নিষিদ্ধ করেছে। এই “জেন্ডার অ্যাপারথাইড” পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতা ও নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক নারী ফুটবলার দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁদের নিয়েই ফিফা গঠন করেছে আফগান শরণার্থী নারী ফুটবল দল।
চলতি মাসে মরক্কোয় অনুষ্ঠিত ফিফা ইউনাইটস সিরিজে প্রথম আন্তর্জাতিক জয় পেয়েছে এই দলটি। লিবিয়ার বিপক্ষে ৭–০ গোলের বড় জয় উদযাপন করেন খেলোয়াড়রা। এর আগে চাদ ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে হেরে গেলেও প্রথম ম্যাচেই গোল করেন দলের ফুটবলার মানুজ নুরি।
এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শরণার্থী নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় নুরি জানান, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর তিনি জীবনের প্রতি আশাহত হয়ে পড়েছিলেন, এমনকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, “নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, আমি কি এমন দেশে থাকতে চাই, যেখানে মেয়েদের পড়াশোনা বা ফুটবল খেলা নিষিদ্ধ?”

তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের আগে আফগানিস্তানে ২৫ জন নারী ফুটবলার চুক্তিবদ্ধভাবে খেলতেন। এখন তাঁদের বেশিরভাগই অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। শরণার্থী নারী দল গঠনের জন্য ফিফা সিডনি, লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিভা অন্বেষণ ক্যাম্প আয়োজন করে। সেখান থেকে ২৩ জন খেলোয়াড়কে বাছাই করা হয়।
নুরি জানান, তালেবান ফের ক্ষমতায় আসার পর নিজের পুরোনো ট্রফি ও মেডেল বাড়ির পেছনের উঠোনে পুঁতে রেখে তিনি দেশ ছাড়েন। দলের আরেক সদস্য নিলাব মোহাম্মাদি বলেন, “ফুটবল শুধু খেলা নয়, এটা আমাদের জীবন আর আশার প্রতীক।”
যদিও ফিফা এখনো এই দলকে সরকারি প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও খেলোয়াড়রা একদিন সেই স্বীকৃতি পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।