স্পোর্টস ডেস্ক
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্বে ফিরছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এক সময় দৃঢ়ভাবে না বললেও শেষ পর্যন্ত মত পরিবর্তন করেন তিনি। বিষয়টি ক্রিকবাজকে নিশ্চিত করেছে বিসিবির ঘনিষ্ঠ সূত্র।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন শান্তকে আবারও টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু শান্ত প্রথমে রাজি হননি। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, দায়িত্ব নেওয়া হলে তাকে ‘সুযোগসন্ধানী’ হিসেবে দেখা হতে পারে। মিডিয়াতেও তিনি খুব জনপ্রিয় নন, তার সোজাসাপ্টা স্বভাবের কারণেই এমন ভাবনা ছিল তার মনে।
তবে বিষয়টি নতুন মোড় নেয় অক্টোবরের ২৮ তারিখে। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম তখন ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন যেখানে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, খালেদ মাসুদ (জুমে যুক্ত ছিলেন) এবং নাজমুল আবেদিন। সেখানে জানা যায়, শান্ত ইতিমধ্যেই অধিনায়কত্বে ফিরতে রাজি হননি।
তখন ফারুক আহমেদ ২৪ ঘণ্টা সময় চান শান্তকে বোঝানোর জন্য। তিনি আগেও শান্তকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যখন বোর্ডে দায়িত্বে ছিলেন। অবশেষে ফারুক আহমেদের ফোনেই পরিবর্তন আসে শান্তর সিদ্ধান্তে।
বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে জানান, “ফারুক ভাই শান্তকে বোঝান যে, অতীত নিয়ে না ভেবে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে। তিনি নিজের উদাহরণও দেন, কিছুদিন আগেও বোর্ডের বাইরে ছিলেন, এখন আবার ফিরে এসে ক্রিকেটের জন্য কাজ করছেন।”
এই উদাহরণই শান্তর মনে পরিবর্তন আনে বলে জানা গেছে। এর আগে শান্ত টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বেশ সফল ছিলেন; ১৪ টেস্টে ৪ জয়, ১ ড্র ও ৯ পরাজয় নিয়ে তার জয় শতাংশ ২৮.৫৭, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষে তিনি পদত্যাগ করেন।
তার পদত্যাগের পেছনে মূল কারণ ছিল হঠাৎ করে তাকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অত্যন্ত অগোছালোভাবে, যখন তিনি কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে দল পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
বর্তমানে নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বোর্ডের কাজকর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে একটি “শ্যাডো কমিটি” গঠন করেছেন। এই কমিটিই নেপথ্যে শান্তকে ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১১ নভেম্বর সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে আবারও নেতৃত্ব শুরু করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।