স্পোর্টস ডেস্ক
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০২ এএম
আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন মৌসুমে দল নিতে মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছিল। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ফলে দৌড়ে টিকে আছে ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
বাদ পড়েছে এস কিউ স্পোর্টস, বাংলা মার্ট এবং মাইন্ড ট্রি। এই তিন প্রতিষ্ঠান অননুমোদিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাদের মধ্যে এস কিউ স্পোর্টস চট্টগ্রামের দল “চিটাগং কিংস” নামে অংশ নিতে চেয়েছিল। তবে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে অন্য প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে, তাই চট্টগ্রাম থেকে দল থাকার সম্ভাবনা এখনও রয়েছে।
বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, ১১টি প্রতিষ্ঠানের নথি আইন বিভাগ, লিগ্যাল কনসালটেন্সি ফার্ম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম পর্যালোচনা করেছে। নথিপত্রে ঘাটতির কারণে তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক ধাপে বাদ পড়েছে।
মিঠু বলেন, “ইওআই গাইডলাইনে অনেক ডকুমেন্ট চাওয়া হয়েছিল, বিশেষ করে ব্যাংক সংক্রান্ত এবং কোম্পানির আর্থিক নথি। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকায় তারা কোয়ালিফাই করতে পারেনি।”
তিনি আরও জানান, এখন যে ৮টি প্রতিষ্ঠান টিকে আছে, তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে বিপিএলের দলের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। সেটা হতে পারে ৪, ৫ বা ৬। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ৪ নভেম্বর জানানো হবে।
বাছাই প্রক্রিয়ায় এবার দুইটি বিষয়কে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে—
১. টুর্নামেন্ট শেষে দ্রুত খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ।
২. অ্যান্টি-করাপশন ও ইন্টেগ্রিটি মানদণ্ড কঠোরভাবে মেনে চলা।
মিঠু বলেন, “খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধে কোনো বিলম্ব চলবে না। আর দুর্নীতি বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জায়গা এবার একেবারেই থাকবে না। এটি বাধ্যতামূলক মানদণ্ড।”