ধর্ম ডেস্ক
০২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১১ পিএম
প্রখ্যাত ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, আফ্রিকার দেশ সুদান বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে। গত তিন দিনে দেশটিতে অন্তত দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা, যাদের মধ্যে হাসপাতালের প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগী এবং তাদের স্বজনও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আর সন্ত্রাসীদের ভয়ে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও লিখেন, ‘দরিদ্র দেশটিতে এতবড় মানবিক বিপর্যয় চলছে অথচ বিপর্যয়ের তুলনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। আফ্রিকায় শান্তিরক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সচেতন মানুষের মনে নানামুখী প্রশ্ন রয়েছে। সেই প্রশ্নই কি তবে সত্য? শান্তিরক্ষার নামে আফ্রিকায় তাদের কাজ কি তবে শুধুই নিজেদের আখের গোছানো?’
আরও পড়ুন: প্রকৃত যোদ্ধা গড়ে ওঠে প্রতিকূলতায়: তরুণদের উদ্দেশে শায়খ আহমাদুল্লাহ
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘শান্তিরক্ষা নামের সার্থকতা রক্ষার্থেও কি তারা সুদানের সহিংসতা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেবে না? এই একই ঘটনা যদি উন্নত কোনো দেশে ঘটত, তাহলে পৃথিবীজুড়ে যে তোলপাড় শুরু হতো, সুদান কি তার সিকিভাগ মনোযোগও পাচ্ছে? গরিব এবং মুসলমান বলেই কি কথিত সভ্যদের কাছে তাদের জীবনের কোনো দাম নেই?’
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার সংস্থাগুলো অনেক দেশে কল্পিত সন্ত্রাস দমন করতে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। কিন্তু সুদানের গৃহযুদ্ধে প্রকৃত সন্ত্রাস দমনে তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।’
আরও পড়ুন: দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করলে অপরাধপ্রবণতা কমে যাবে: শায়খ আহমাদুল্লাহ
শায়খ আহমাদুল্লাহর এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তার সঙ্গে একমত পোষণ করে মন্তব্য করছেন যে, সুদানের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।