নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২২ এএম
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন-‘ইউনাইটেড নেশন্স মিশন ইন সাউথ সুদান (আনমিস)’-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-তে অংশ নিতে প্রথম গ্রুপে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ জন সদস্যের একটি কন্টিনজেন্ট মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই কন্টিনজেন্টটি ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১০’ এর প্রতিস্থাপক হিসেবে দক্ষিণ সুদানে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও, আগামী ১৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় গ্রুপে আরও ৩৯ জন নৌসদস্য উল্লিখিত শান্তিরক্ষী মিশনে যোগদান করবেন।
জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত রয়েছে। সুদানের প্রত্যন্ত এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি, খাদ্য সামগ্রী, ঔষধপত্র ও মানবিক সাহায্য বহনকারী বার্জসমূহের নিরাপদ চলাচলের নিশ্চয়তা বিধান, নৌপথের জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ, অগ্নিনির্বাপণে স্থানীয় জনগণকে সহায়তা প্রদান করছে।
এছাড়াও, বার্জসমূহে কর্মরত বেসামরিক নাবিকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং মিশনে নিয়োজিত সদস্যদের প্রয়োজনীয় রসদ সামগ্রী দুর্গম স্থানে পরিবহণে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নৌবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চলেছে। সেই সাথে আহত সামরিক-অসামরিক ব্যক্তিদের উদ্ধার ও জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ ডুবুরি সহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
দক্ষিণ সুদান ছাড়াও, লেবানন-এর ভূমধ্যসাগরে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা সংগ্রাম’ নিয়োজিত রয়েছে। নীল নদের দীর্ঘ ১ হাজার ৩১১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ৭১টি লজিস্টিক অপারেশন্স (অপারেশন লাইফ লাইন) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শান্তিরক্ষায় নৌবাহিনীর এই গর্বিত অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে।
জেবি