images

জাতীয়

গ্রেফতারের ভয়ে ডিআইজির পালানো নিয়ে রহস্য, চলছে তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১২ পিএম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশ একাডেমি সারদা থেকে পালিয়ে যান ডিআইজি এহসানুল্লাহ। এ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। সেই রহস্য ভেদে পুলিশ ও আইসিটির উচ্চপর্যায় বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানানো হয়েছে।

‎‎এর আগে বুধবার (২৯ অক্টোবর) ডিআইজি এহসানুল্লাহকে গ্রেফতার করতে গেলে তিনি পালিয়ে যান।‎

‎বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকের অভিযোগ, ডিআইজি এহসানুল্লাহকে পালিয়ে যেতে পুলিশ একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সহায়তা করেছেন।

‎পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আইসিটির প্রতিনিধিরা জেলা পুলিশের সহায়তায় বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোর ৬টায় সারদা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান। কিন্তু ডিআইজি এহসানুল্লাহ খবর পেয়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি দিনভর রাজশাহীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

এদিকে পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবতারবিরোধী অপরাধের অভিযোগে র‍্যাবের আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের সহযোগী সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমানকে তার কর্মস্থল সিআইডি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

‎‎সিআইডি সূত্র জানায়, দুপুরের দিকে আইসিটির একটি প্রতিনিধির দল সিআইডি ঢাকা মেট্রো অফিস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। 

অন্যদিকে পুলিশের আরেকটি দল জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় উত্তরা গণহত্যায় জড়িত উত্তরা ডিভিশনের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক এডিসি সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।

‎‎পুলিশ জানায়, ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বরিশালের সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমানে পুলিশ একাডেমিতে সাপ্লাই বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডিআইজি এহসানুল্লাহকে গ্রেফতার করতে বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে পুলিশ একাডেমিতে যায় একটি দল। এ সময় তিনি রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যান। 

পুলিশ একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এহসানুল্লাহকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

‎বিষয়টি সম্পর্কে জানতে সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল তাওফিক মাহবুব চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় কল করেও তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

‎‎একেএস/এএইচ