নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
রাজনৈতিক নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে জুলাই সনদে গণভোটের বিষয়টি উঠে এসেছে। গণভোট কখন হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে চলছে বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক। এরই মধ্যে গণভোট আয়োজনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়,বিভাগ ও সংস্থাকে সকল প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে গণভোটের বিষয়টি আসেনি। তবে গতকালের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইসি বৈঠকে বলেছে গণভোট সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে তা সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। কিন্তু এর জন্য সবাইকে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইসি সূত্র জানায়, গণভোট আলাদাভাবে করতে হলে প্রায় সংসদ নির্বাচনের সমান বাজেট প্রয়োজন হবে। কিন্তু যদি সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট আয়োজন করা যায় তাহলে অতিরিক্ত ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। ভোটকেন্দ্র আমাদের নির্ধারণ করা আছে। ভোটকক্ষও চূড়ান্ত, একসঙ্গে দুটি ভোট আয়োজন হলে, এখানে শুধু কিছু ভোটকক্ষ বৃদ্ধি ও ব্যালট ছাপাতে হবে। এর বাইরে আর কোনো কাজ থাকবে না। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া দুই পর্যায়ের ভোটে বাড়বে ব্যয়ও। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কেও সেভাবে প্রস্তুতি রাখার জন্য বলা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সরকারের ৩১ মন্ত্রণালয়, বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, গণভোট কোন সময় হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
এমএইচএইচ/এফএ