images

জাতীয়

ফেসবুকে হ্যাঁ না পোস্টের প্রতিযোগিতা

ঢাকা মেইল ডেস্ক

৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১৮ এএম

মধ্যরাতে সরগরম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। গণভোটের পক্ষে ও বিপক্ষে নতুন করে শুরু হয়েছে প্রচারণার ঢেউ। নিউজফিডজুড়ে চলছে ‘হ্যাঁ’ আর ‘না’ পোস্টের প্রতিযোগিতা।

জানা গেছে, গণভোটের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নতুন প্রচারণায় নেমেছেন। অন্যদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ গণভোটের সমর্থনে পোস্ট দিচ্ছে নিয়মিত।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরও এই অনলাইন ক্যাম্পেইনে যুক্ত হয়েছেন। তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ‘না’ লিখে একটি পোস্ট দিয়েছেন। বিপরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড পেজে ‘হ্যাঁ’ পোস্ট দিয়ে গণভোটের পক্ষে অবস্থান জানানো হয়েছে।

এরই মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আগে কিংবা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের তাগিদও দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।

এর আগে সকালে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়সংক্রান্ত সুপারিশমালা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে।

পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, আজই সব রাজনৈতিক দলের কাছেও এই সুপারিশমালা পাঠানো হবে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়— এমন বিষয়গুলো সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি নির্দিষ্ট বিষয়ে জনগণের মতামত জানতে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আলী রীয়াজ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ তার প্রথম ৯ মাসের মধ্যেই সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করবে। এই সংসদই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সংস্কার পরিষদ যদি ২৭০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারে, তাহলে জুলাই সনদের প্রস্তাবনাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, যেসব দল এখনো সনদে স্বাক্ষর করেনি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। এনসিপির সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত আছে। আমরা আশাবাদী, এনসিপিও শেষ পর্যন্ত সনদে স্বাক্ষর করবে।

/এএস