images

জাতীয়

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের ইফতার পাবেন লাখো রোজাদার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১২ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম

অন্যান্য বছরের মতো এবারও রমজানে এক লাখের মতো রোজাদারকে ইফতার করানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাস্তুল ফাউন্ডেশন। শুরুর দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে পুরো রমজানজুড়ে চলবে এই কার্যক্রম।

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অসহায় ও নিম্ন আয়ের এক লাখ রোজাদারের পাশাপাশি ২০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে।

সবার মাঝে ইফতারের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টরা।

জানানো হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলায় ইফতার বিতরণের কার্যক্রম চলবে। নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে ইফতারে ভালো খাবার খেতে পারে তাই মাসব্যাপী চলবে এই আয়োজন। আর্থিক অনটন ও নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে কষ্টভোগী রোজাদারদের সম্মানে এই কার্যক্রমটি দুই ভাগে করা হয়েছে। যেখানে রায়েরবাজারে অবস্থিত মাস্তুল মেহমানখানায় প্রতিদিন এক হাজারের বেশি অসহায় রোজাদারের জন্য ইফতারের আয়োজন থাকছে।  

এছাড়া এই কর্মসূচির আওতায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে রাস্তাঘাটে চলাচলরত রোজাদার, চলাচলরত যানবাহন বা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা যানবাহনের যাত্রীদের মাঝেও বিনামূল্যে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ করা হবে।

ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার এতিমখানা, মাদরাসা এবং দরিদ্র পরিবারকে ২০ হাজার ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া জাকাতের মাধ্যমে ৫০০ দরিদ্র পরিবারকে সাবলম্বী করে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পরিবকল্পনা আছে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের।

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, রমজানে রোজাদারকে ইফতার করানো হলো মুমিনের বিশেষ আমল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মাস্তুল ফাউন্ডেশন সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রমজানকে আনন্দময় করে তুলতে চায়। তিনি সবাইকে এই পবিত্র রমজান মাসে নিজ নিজ জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

Mastul2

তিনি আরও বলেন, সবার জন্য ইফতার তখনই সম্ভব যখন আমরা সবাই মিলে এই উদ্যোগে শামিল হব।

মাস্তুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকারের নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান। মাস্তুলের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে দাফন-কাফন সেবা প্রজেক্ট। যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি লাশ দাফন হয়েছে।

মাস্তুলের রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদরাসা এবং শেল্টারহোম যেখানে আবাসিক/অনাবাসিক মিলে শতাধিক পিতামাতাহীন/অনাথ/এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে কয়েক জেলায় প্রজেক্ট স্কুলগুলোতে হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার উপকরণ দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদা নিশ্চয়তা করা হচ্ছে।

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাইরে জাকাত স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে হাজারেও বেশি মানুষকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে।

রয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা দের জন্য মাস্তুল বৃদ্ধাশ্রম এবং মাস্তুল মেহমানখানা, যেখান থেকে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা পেট পুড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা হয়।

বিইউ/জেবি