আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৮ এএম
দক্ষিণ লেবাননে এক দফা বিমান হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, এসব হামলায় হিজবুল্লাহর একাধিক স্থাপনা লক্ষ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংগঠনটির এলিট বাহিনী ‘রাদওয়ান ফোর্স’-এর একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
আইডিএফ জানায়, ওই প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সটি ব্যবহার করে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ ছাড়া হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত আরও কয়েকটি ভবন এবং একটি রকেট উৎক্ষেপণস্থলেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
আইডিএফের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব স্থাপনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতার প্রস্তুতি চলছিল, যা ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে বিদ্যমান সমঝোতার লঙ্ঘন এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এর আগে লেবাননের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলার কথা জানায়। তবে সে সময় হামলার বিষয়ে আইডিএফের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এর প্রভাব পড়তে শুরু করে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তেও। ওই সময় থেকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমান্তজুড়ে নিয়মিত গোলাগুলি ও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।
কিছুদিন আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সীমান্ত উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর সামরিক উপস্থিতিকে ইসরায়েল তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে। আর হিজবুল্লাহ গাজা পরিস্থিতির সঙ্গে সংযোগ রেখে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আসছে।
এই সীমান্ত সংঘাতে উভয় পক্ষের হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে ইসরায়েল ও লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বহু মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল বারবার এই উত্তেজনা সম্পূর্ণ যুদ্ধের দিকে না গড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।
বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় যুদ্ধবিরতি থাকলেও ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ একে অপরকে কৌশলগত চাপের মধ্যে রাখতে সীমিত পরিসরে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখছে। সাম্প্রতিক বিমান হামলাকেও এ ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এমআর