আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থা বা শাটডাউনের মধ্যে দেশটিতে বিমান চলাচল ব্যবস্থায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। শাটডাউনের ২৭তম দিন সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৭ হাজার ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। এর আগে দিন গত রোববার বিলম্বিত হয় ৮ হাজার ৮০০টির বেশি ফ্লাইট। কারণ বেতন না পেয়ে কাজ করা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে এ বিশৃঙ্খলা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জনবল সংকটের কথা জানিয়ে সোমবার নিউ জার্সির নিউয়ার্ক, টেক্সাসের অস্টিন এবং ডালাস–ফোর্ট ওর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘গ্রাউন্ড ডিলে প্রোগ্রাম’ চালু করে। এর আগে আটলান্টা টার্মিনাল রাডার অ্যাপ্রোচ কন্ট্রোলে জনবল ঘাটতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে ফ্লাইট বিলম্ব হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং ৫০ হাজার ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ) কর্মকর্তা বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। গত মাসের শেষে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যদের বাজেটসংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এই অচলাবস্থা শুরু হয়।
হোয়াইট হাউস সতর্ক করেছে, মঙ্গলবার কর্মকর্তারা পূর্ণ মাসের বেতন না পেলে ফ্লাইট বিলম্ব ও বাতিলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ার–এর তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনসের ৪৭ শতাংশ ফ্লাইট অর্থাৎ ২ হাজার ৮৯টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। আমেরিকান এয়ারলাইনসের ৩৬ শতাংশ বা ১ হাজার ২৭৭টি, ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ২৭ শতাংশ বা ৮০৭টি এবং ডেল্টা এয়ারলাইনসের ২১ শতাংশ বা ৭২৫টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়।
ফ্লাইটঅ্যাওয়ার আরও জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনসের ৩৪ শতাংশ, আমেরিকান এয়ারলাইনসের ২৯ শতাংশ, ডেল্টার ২২ শতাংশ এবং ইউনাইটেডের ১৯ শতাংশ ফ্লাইট বিলম্বিত হয়।
মার্কিন পরিবহন দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, রোববারের ফ্লাইট বিলম্বের প্রায় ৪৪ শতাংশই ঘটেছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে, যা স্বভাবিকের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩৫ দিনের শাটডাউনের সময় বেতন না পাওয়ায় কন্ট্রোলার ও টিএসএ কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি বেড়ে গিয়েছিল। তখনও বিমানবন্দরে চেকপয়েন্টে দীর্ঘসময় অপেক্ষাসহ নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে বিমান চলাচল ধীরগতিতে করতেও বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: রয়টার্স
এমএইচআর