images

আন্তর্জাতিক

মামদানিই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভবিষ্যৎ: ইলন মাস্ক

ঢাকা মেইল ডেস্ক

২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৫ পিএম

নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাট দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির প্রশংসায় মাতলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক।

সোমবার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও শেয়ার করে মাস্ক লিখেছেন, ‘জোহরানই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভবিষ্যৎ।’

ভিডিওতে দেখা যায়, রোববার (২৬ অক্টোবর) নিউইয়র্ক সিটিতে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশে নিউইয়র্কের গভর্নর হোচুল মামদানির পক্ষে ভোট চাইছেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ। 

সমর্থকদের উদ্দেশে হোচুল বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে শুধু শহর নয়, দেশকেও পুনর্দখল করতে হবে। সেই শক্তি, সেই আবেগকে ২০২৬ সালে নিয়ে যান যাতে আমরা কংগ্রেস, সিনেট এবং আমাদের দেশ ফিরিয়ে আনতে পারি। আপনাদের সাহায্যে আমরা এটি করব। জোহরানকে নির্বাচিত করুন এবং আমরা আগের আমেরিকা ফিরিয়ে আনব।’

হোচুল গত সেপ্টেম্বরেই দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ লেখা এক নিবন্ধে মামদানির প্রশংসা করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, আদর্শিক পার্থক্য থাকলেও আমি বিশ্বাস করি মামদানি নিউইয়র্ক সিটির জন্য প্রয়োজনীয় সাহস নিয়ে কাজ করবেন।

প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে শনিবার (২৫ অক্টোবর), চলবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। আর আগামী ৪ নভেম্বর হবে চূড়ান্ত ভোটগ্রহণ। রাজনৈতিকভাবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই ব্যাপক উত্তেজনা চলছে।

নিউইয়র্কে এবার ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি, রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোর মধ্যে থেকে একজনকে মেয়র হিসেবে বেছে নেবেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে শহরের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম প্রার্থী মামদানি ও সাবেক মেয়র অ্যান্ড্রু কুওমোর মধ্যে।

নিউইয়র্কের বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস এবারের নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। সাবেক গভর্নর কুমোকে সমর্থন দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও রিপাবলিকান পার্টির কার্টিস স্লিওয়াও অনেক ভোট পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেশকয়েকটি জনমত জরিপে আভাস মিলেছে, ইসরায়েলের কট্টর সমালোচক মামদানিই শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র হতে যাচ্ছেন। অ্যান্ড্রু কুওমো এবং কার্টিস স্লিওয়ার থেকে বেশ এগিয়ে আছেন তিনি। 

নির্বাচনী প্রচারণায় মামদানি নিউইয়র্কবাসীর জন্য বাসা ভাড়া কমানো, বিনামূল্যে শিশু যত্ন, বিনামূল্যে গণপরিবহণ ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটাদের আকৃষ্ট করেছেন। এছাড়াও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে আসলে তাকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েও ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। 

অন্যদিকে মামদানির এই জনসমর্থন সহজে মেনে নিতে রাজি নন অনেকেই। বিভিন্ন উপায়ে তাকে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না প্রতিপক্ষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকবার তাকে ইসলামপন্থির তকমা দিয়েছেন অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ অ্যান্ড্রু কুমো। পাশাপাশি, ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সও মামদানিকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন। যদিও সেই সব সমালোচনায় বিচলিত নন বলেই জানিয়েছেন মামদানি।

শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষই নয়, টাইমস অফ ইসরায়েলের প্রতিবেদন বলছে, মামদানির পরাজয় নিশ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে নিউইয়র্কের ইহুদিরাও। মামদানি তার নির্বাচনী প্রচারণায় বার বার ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব তুলে ধরায় শঙ্কিত তারা। 

সূত্র: এনডিটিভি, সিবিএস নিউজ

 

এমএইচআর