images

আন্তর্জাতিক

আরও ৫৪ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অভিযোগে আরও ৫৪ ভারতীয় নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। নির্বাসিত ৫৪ জনই ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার বাসিন্দা। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ফেরত পাঠানো সবাই ‘ডাংকি রুট’ নামে পরিচিত অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। সম্প্রতি তারা সবাই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বলে রোববার নিশ্চিত করেছে পুলিশ।  বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে,

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ফেরত পাঠানোদের মধ্যে ১৬ জনই হরিয়ানার করনাল জেলার বাসিন্দা। এছাড়া ১৫ জন কাইথালের এবং ৫ জন আম্বালা, ৪ জন কুরুক্ষেত্রের, ৩ জন জিন্দের, ২ জন সোনিপতের এবং ১ জন করে পঞ্চকুলা, পানিপত, রোহতক এবং ফতেহাবাদের বাসিন্দা। তাদের বেশিরভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। সবাইকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে এবং কোনো দালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। 

করনালের ডিএসপি সন্দীপ কুমার বলেন, ‘আরো ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যার মধ্যে হরিয়ানা রাজ্য থেকে ৫০ জন, এর মধ্যে প্রায় ১৬ জন কর্ণাল জেলা থেকে। বিভিন্ন গ্রাম ও শহরের এই ব্যক্তিরা ‘ডাংকি রুটে’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন, কিন্তু আজ তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, পুলিশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং কেউ যেন অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা না করে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া তদন্ত চলছে, কারও বিরুদ্ধে অপরাধমূলক রেকর্ড থাকলে তা তদন্তেই ধরা পড়বে।

প্রসঙ্গত, ‘ডাংকি’ শব্দটি পঞ্জাবি বাগধারা থেকে উদ্ভূত। এটি একটি অবৈধ অভিবাসন কৌশলকে বোঝায় যা, ‘ডাঙ্কি ফ্লাইট’ নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে একাধিক দেশে গোপনে অবস্থান করে সীমান্ত অতিক্রম করা হয়। বিপুল অংকের অর্থের বিনিময়ে এজেন্ট বা দালালরা জাহাজের কন্টেইনার বা গাড়িতে গোপন বগির মাধ্যমে পাচার করা থেকে শুরু করে জাল নথিও সরবরাহ করে থাকে।   

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান বা অভিবাসন আইন ভঙ্গের অভিযোগে শত শত ভারতীয়কে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: এনডিটিভি


এমএইচআর