images

হেলথ

স্বাস্থ্য গবেষণায় বাজেট কম থাকায় পিছিয়ে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম

স্বাস্থ্য গবেষণায় বাজেট বরাদ্দে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের তুলনায় এই খাতে বাংলাদেশের বাজেট প্রায় ১৯ গুণ কম। এমনকি শ্রীলঙ্কার তুলনায়ও চার গুণ পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমআরসি’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার।

অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার বলেন, ভারতের গবেষণা কাউন্সিল আইসিএমআর’র বার্ষিক বাজেট ২৮৩ দশমিক ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে করে জনসংখ্যা অনুযায়ী মাথাপিছু বরাদ্দ ০.১৯ ডলার। অন্যদিকে, বিএমআরসি’র বাজেট মাত্র ১ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ মাথাপিছু মাত্র ০.০১ ডলার। শ্রীলঙ্কার জাতীয় গবেষণা পরিষদের (এনআরসি) বাজেট ০.৮৬ মিলিয়ন ডলার, যা মাথাপিছু ০.০৪ ডলার।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের চরম বৈষম্য বাংলাদেশের গবেষণার সক্ষমতা হ্রাস করছে। পাশাপাশি, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় দেশের অবস্থান দুর্বল করছে।

সভায় গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ, নীতিগত অগ্রাধিকার নিশ্চিত করাসহ গবেষণা অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

আগ্রহ বাড়লেও অনুদানে চাপ

সভায় জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যখাতের গবেষণায় শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আগ্রহ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে (২০২৫–২৬) ছাত্র অনুদানের জন্য রেকর্ডসংখ্যক ৫৮২টি আবেদন জমা পড়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ১৫০।

একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে গবেষক অনুদানের ক্ষেত্রেও। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে মোট ৭১১টি আবেদন জমা পড়েছে, যা আগের বছরের (৩০৬টি) তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

ডা. সায়েবা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণাবান্ধব পরিবেশ তৈরি, অনুদান প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ হওয়া এবং সামগ্রিকভাবে গবেষণার প্রতি আগ্রহ বাড়ার ফলেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামীতে দেশে আরও মানসম্মত গবেষণা প্রত্যাশিত।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের দায়িত্বে) মাহবুব আলম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।

এফএ