নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় সিটি ইউনিভার্সিটির একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী রাস্তায় থুথু ফেললে তা ড্যাফডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর গায়ে লাগে। এ নিয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডা এবং পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী ড্যাফডিলের হোস্টেলে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফডিলের এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে প্রতিবাদে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রক্টরিয়াল টিম শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানায়।
রাত ১২টার দিকে উত্তেজিত ড্যাফডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির মূল ফটকের সামনে পৌঁছে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। গেট বন্ধ থাকায় তারা দেয়াল টপকে ক্যাম্পাসে ঢুকে তিনটি বাস, কয়েকটি প্রাইভেটকারসহ মোট সাতটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পাশাপাশি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সিটি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মীর আকতার হোসেন বলেন, সংঘর্ষে তিনটি বাস ও একাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চার থেকে পাঁচ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মুখপাত্র প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। সিটি ইউনিভার্সিটি আমাদের ১০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে রেখেছে, যার মধ্যে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনা করছে এবং সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এম/এএস