জেলা প্রতিনিধি
০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
নির্বাচন কমিশনের গঠন ও কর্মকাণ্ডে নিরপেক্ষতার অভাব স্পষ্ট। তারা কতটা সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) মো. হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ব্যক্তি-নির্ভর স্বেচ্ছাচারিতার পথে হাঁটছে। মার্কা বরাদ্দে কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না। শাপলা ফুল প্রতীক নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, যদি সেটি বরাদ্দ না দেওয়া হয়, তবে আইনগতভাবে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যাহীন সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শর্ত পূরণ ও সাংগঠনিক কাঠামো সুসংহত করতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক দিকনির্দেশনা ও সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় জেলার ছয় উপজেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ রাজনৈতিক অঙ্গনের সাম্প্রতিক পরিবর্তন ও দলগুলোর অবস্থান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশে এখন মূলত দুটি অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে, একটি সংস্কারের পক্ষে, অন্যটি সংস্কারের বিপক্ষে। যারা সংস্কারের পক্ষে, তারা একে অপরের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছেন।
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমরা বারবার বলেছি— জুলাই সনদে স্বাক্ষর দেওয়ার আগে তা আমাদের দেখাতে হবে, ঘোষণা দিতে হবে এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছতা আনতে হবে। কিন্তু কিছু পক্ষ না পড়ে স্বাক্ষর করেছে। পরে তারাই আজ আমাদের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপির সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, আমরা সংস্কারের পক্ষে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যারা সংস্কারের জনআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে একমত, তারা চাইলে আমাদের সঙ্গে জোটে আসতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন ও এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (শিক্ষা ও গবেষণা) ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।

সভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের জন্য সারাদেশে নির্ধারিত পরিমাণ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের শর্ত ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় পূর্বের তত্ত্বাবধায়ক কমিটিগুলোকে আহ্বায়ক কমিটিতে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বরগুনা জেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এ দিকনির্দেশনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, বরগুনা জেলা কমিটি না থাকায় দীর্ঘদিন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ও সক্রিয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সংগঠনের বিভিন্ন জটিলতা, প্রত্যাশা এবং কাঙ্ক্ষিত কমিটি গঠনের বিষয়ে মতবিনিময় ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচিতে এনসিপির অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম মিতু, এনসিপি যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না, এনসিপি যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আরিফুর রহমান তুহিন, বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়ক আবু সাঈদ মুসা, এনসিপির বরিশাল জেলা সদস্য রফিকুল ইসলাম কনকসহ প্রমুখ।
প্রতিনিধি/এসএস