২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
অন্তবর্ত্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনুস নির্বাচন তারিখ ঘোষণার পর থেকে সারাদেশের মতো নাটোরেও রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা পুরোদমে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
ইতোমধ্যে প্রার্থীরা নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণা, সভা-সমাবেশ এবং গণসংযোগ করছেন। ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে অধিকাংশ নির্বাচনি এলাকার রাস্তা-ঘাট।
নাটোর-১ [লালপুর-বাগাতিপাড়া]
সংসদীয় আসনে বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ আসনে লালপুর ও বাগাতিপাড়া দুটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত। তিন লাখ ৪৯ হাজার ৩৬৯ জন ভোটার আসনে বিএনপির ৫ নেতা মাঠ ঘুরছেন। তবে অনেক আগেই জামায়াতের একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি।
মনোনয়ন প্রত্যাশী
এ আসনে জেলার প্রথম মন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমান পটল। বিএনপির মনোনয়ন পটল পরিবারে রাখতে পটলের মেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শ কমিটির বিশেষ সহকারী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল ও ছেলে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক ভিপি ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন। দুই ভাই-বোন নির্বাচনি আসনে সমানতালে সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, হঠ্যৎ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসন-৪১ এর সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনি পোস্টার দেখা গেছে।
তবে বসে নেই বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। তিনিও বিএনপির মনোনয়ন পেতে গণসংয়োগ ও সমাবেশ করে চলেছেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম টিটু মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবি করলেও মাঠে তেমন তাকে প্রচার-প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামী মো. আব্দুল কালাম আজাদকে একক প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। তিনি লালপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন: মাঠে বিএনপি-জামায়াত, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী অ্যাড. ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দেশ রত্ন বেগম খালেদা জিয়া যদি আমার কাজের সততার ওপর বিশ্বাস, আস্থা এবং আমার এলাকার জনগণ আমাকে যদি চায় দল আমাকে মনোনয়ন দেন। তাহলে আমার প্রথম কাজ হবে এ এলাকার পিছিয়ে পড়া সব শ্রেণি-পেশার মানুষের শিক্ষা, চাকরি ও ব্যবসা বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে জীবন-মানের উন্নয়ন করা। আমার দ্বিতীয় কাজ হবে, আমার বাবার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ করা।
তিনি বলেন, লালপুর-বাগাতিপাড়ায় গত ঈদে ইফতার মাহফিলে করেছিলাম, সাধারণ মানুষের জনস্রোত ছিল। তাদের ভালোবাসায় আমি সিক্ত। আমি যেমন আমার পরিবারকে সাজিয়ে রেখেছি, তেমন করে আমার এ এলাকাকে সাঁজাতে চাই। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত। ইনশাল্লাহ আমার জনগণ পাশে থেকে আমার এলাকার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
প্রতিনিধি/ এজে