বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

প্রাথমিকের পাঠ্যসূচিতে শব্দ দূষণ আওতাভুক্ত করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রাথমিকের পাঠ্যসূচিতে শব্দ দূষণ আওতাভুক্ত করার দাবি

রফতানিমুখীসহ সব শিল্প ও অর্থনীতির মূল চালনাশক্তি শ্রমিকরা। কিন্তু শিল্প কারখানায় যন্ত্রপাতি থেকে কম বেশি শব্দ উৎপন্ন হয়েই থাকে, যার দূষণের শিকার প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। সচেতনতার লক্ষে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রত্যেকটি ক্লাসের পাঠ্যসূচিতে শব্দ দূষণের বিষয়টি আওতাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদফতর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভার বক্তারা এসব কথা বলেন। যেখানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় শিল্প কলকারখানার অংশীজনরা উপস্থিতি ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, কলকারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, জেনারেটরের থেকে সৃষ্ট শব্দ কর্মীদের শ্রবণশক্তি হ্রাস করছে ফলে চিকিৎসা খরচ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরে যাবে যেহেতু রফতানিমুখীসহ সকল শিল্প ও অর্থনীতির মূল চালনা শক্তি শ্রমিকরা।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ঢাকার সহকারী মহাপরিদর্শক (সেইফটি) মো. তাইমুম ইসলাম বলেন, সচেতনতা নিজের মধ্যে থেকে আসতে হবে, কেউ কাউকে জোর করে সচেতন করতে পারবেন না। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় নির্ধারিত কাজ যতটা গুরুত্ব পায় তার থেকে বেশি অবহেলা পায় শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য, নিজের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদের সচেতন হতে হবে।

বেবিলন গ্রুপের পরিচালক এমদাদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ের শিল্প কারখানার কর্মীদের বেশিরভাগই কমপক্ষে প্রাইমারি শিক্ষা নিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রত্যেকটি ক্লাসের পাঠ্যসূচিতে শব্দ দূষণের বিষয়টি আওতাভুক্ত করতে হবে। এর মাধ্যমে শিশু বয়স থেকেই শিক্ষার্থীরা শব্দদূষণ সম্পর্কে নিজেরা সচেতন হবে এবং পরিবারকে সচেতন করবে।

ডিএইচডি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর