বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

কৃষিপণ্য রফতানি বাড়ানোর তাগিদ মন্ত্রীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

কৃষিপণ্য রফতানি বাড়ানোর তাগিদ মন্ত্রীর

রফতানিকে বহুমুখী করার কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, জাপানসহ উন্নত দেশসমূহের মূল বাজারে আমরা কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। রফতানি ক্ষেত্রে সেসব দেশের পূর্বশর্ত পূরণে ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ফুড সেফটি অ্যান্ড এক্সপোর্ট অপরচুনিটি টুওয়ার্ডস ইউএসএ শীর্ষক এক কর্মশালায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। কর্মশালাটির আয়োজন করে অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচাম)।


বিজ্ঞাপন


দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি আম রফতানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চলছে। সেই সঙ্গে চীন ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গেও যৌথভাবে কাজ চলছে।

কৃষিপণ্য রফতানির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে।

>> আরও পড়ুন: কৃষকের অ্যাপে ধান, কর্মকর্তাদের ১৩ নির্দেশনা


বিজ্ঞাপন


বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৃষিকে একপাশে সরিয়ে না রাখতে বা প্রান্তিকীকরণ না করতে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ও রফতানির সম্ভাবনা অপার। সেটিকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি, দক্ষ মানবসম্পদ, বিনিয়োগ, সমন্বয় এবং সমন্বিত উদ্যোগ।

এ সময় বিষয়টিতে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন।

কর্মশালায় দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকটের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, এই দেশটি দুর্ভিক্ষের দেশ, খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দেশে প্রতিবছর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ না খেয়ে থেকেছে, না খেয়ে মারাও গেছে।

তবে গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ থেকে মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই সময়ে কোনোরকম খাদ্য সংকট হয়নি, একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।

এ দিন কর্মশালায় অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচাম) নেতৃবৃন্দ জানান, যুক্তরাষ্ট্র বছরে ১৮০ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করে। সেখানে বাংলাদেশ রফতানি করে মাত্র ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য। শতকরা হিসাবে যা এক ভাগেরও কম।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচার অ্যাটাশে ফ্রান্সিস মেগান, অ্যামচামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।

ডব্লিউএইচ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর