শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘কেউ একক সিদ্ধান্তে বালু মহাল ঘোষণা করতে পারেন না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

‘কেউ একক সিদ্ধান্তে বালু মহাল ঘোষণা করতে পারেন না’

বালু মহাল আইনের ৫নং বিধি অনুযায়ী কেউ একক সিদ্ধান্তে বালু মহাল ঘোষণা করতে পারেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন,  জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি জেলা কমিটি পরিবেশ ও সার্বিক ঝুঁকি বিষয়গুলো তদারকি করেবে। তবে কমিটি ত নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন না, উলটো অভিযোগ দিলে দায়সারা রিপোর্ট দাখিল করেন। বালু ও পাথরকেন্দ্রিক অর্থনীতির জন্য শুধু সিলেটে মারা গেছে ১০২ জন, আহত হয়েছে ৩৫ জন। প্রশাসন বলছে, ৮১ জন মারা গেছে, আহত হয়েছে ২৫ জন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিশ্ব নদী দিবস-২০২২ উপলক্ষে 'বালু-পাথর উত্তোলন ও দখল-দূষণে নদ-নদীর বিদ্যমান জীর্ণদশা এবং পরিবেশ সংকট' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি), বালাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও পানি অধিকার ফোরাম।

বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  বলেন, 'নদীকে কখনও বালু মহাল কখনও পাথর মহাল ঘোষণা করা হয়, কখনও আবার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে নির্দ্বিধায় তুলে দিচ্ছে সরকার। নদী যে একটা লাইফ লাইন তা আমরা অনুধাবন করতে পারি না। বালু মহালগুলোত থেকে সরকার রাজস্ব পায় ২৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বিগত ২০ বছরে নদী ও নদী সংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১৩০-১৪০ ফুট গর্ত করে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে কৃষিজমি, বাড়িঘড় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কৃষিজমি ভেঙে প্রতিবছর পাঁচ হাজার টন শস্য কম উৎপাদিত হয়েছে।'

বেলার প্রধান নির্বাহী বলেন, 'সেচের যতটুকু পানি লাগে তার ২৫ ভাগ আসে নদী থেকে। যার মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ৫১ ভাগ, পদ্মা ২৮ ও মেঘনা ১৪ ভাগের যোগান দেয়। নদীর ওপর ১৬.২ মিলিয়ন কৃষকের জীবন জীবিকা নির্ভর করে। জিডিপিতে কৃষির অবদান ১১.৬৩ শতাংশ, মৎসখাতের অবদান ৩.৬১ শতাংশ, নৌ-যোগাযোগের অবদান ০.৬৪ শতাংশ। খাবার পানির ১৮ শতাংশ নদী থেকে সংগ্রহ করা হয়। এমন একটি দেশে নদীকে অস্বীকার করে কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব।'

অনুষ্ঠানে এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বেগম রোকিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন।


বিজ্ঞাপন


আঞ্চলিক পর্যায়ের ভুক্তভোগীদের মধ্যে বক্তব্য দেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিক মো. অলিয়র রহমান, সুনামগঞ্জের হাউস-এর নির্বাহী প্রধান সালেহীন শুভ, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মো. বসির উদ্দিন, নেত্রকোনোর হাজংমাতা রাশিমনি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মতিলাল হাজং, সাতক্ষীরার স্বদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, রংপুরের ডিসিপিইউকের নির্বাহী পরিচালক নুরুল ইসলাম দুলু, রাজশাহীর রুলুফাও-এর নির্বাহী পরিচালক আফজাল হোসেন, বগুড়ার স্বপ্ন-নির্বাহী প্রধান মো. জিয়াউর রহমান, বান্দারবনের সাংবাদিক উচি থোয়াইনং প্রমুখ।

এসএএস/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর