বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের নেওয়া সব কার্যক্রম আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
‘সবুজ বাংলাদেশ-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ’ বিষয়ক ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি।
সম্মেলনে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে। সরকার এ লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে এনডিসি, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বর্তমান সরকার দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর বাসযোগ্য টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদফতর নিয়মিত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়াও মানবসৃষ্ট পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও তরল বর্জ্য নির্গত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে তরল বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা স্থাপন করতে এবং শূন্য নিষ্কাশন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধ্য করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ‘সুন্দরবন সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার’
শাহাব উদ্দিন বলেন, বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির আয়তন ২২ দশমিক ৩৭ থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির আয়তন ১৪ দশমিক ০১ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সরকার গাছ লাগানোর গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে নানা প্রচারণা ছাড়াও গাছের চারা বিতরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশকে সবুজ রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে সবুজ প্রবৃদ্ধিকে জনপ্রিয় করার পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শহরিয়ার আলম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রস্তুতি কমিটির সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক, বিজ্ঞানী, অনুশীলনকারীসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্কলাররা উপস্থিত ছিলেন।
টিএ/আইএইচ
