বর্ষাকালীন অতিবৃষ্টির ফলে অনেক সময় জমি ডুবে যায়, ফসল নষ্ট হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি নেমে গেলে কৃষকদের জন্য কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়—
জমি ও মাটির যত্ন
বিজ্ঞাপন
জমি পরিষ্কার করুন – জমিতে জমে থাকা আগাছা, ভেসে আসা আবর্জনা ও পচা গাছপালা সরিয়ে ফেলুন।
মাটির উর্বরতা ফিরিয়ে আনুন – জমি চাষ করে বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন, প্রয়োজনে জৈবসার ব্যবহার করুন।
চুন প্রয়োগ – পানিবাহিত রোগ ও মাটির অম্লতা কমাতে জমিতে চুন ছিটিয়ে দিন।

বিজ্ঞাপন
ফসল ব্যবস্থাপনা
ক্ষতিগ্রস্ত ফসল মূল্যায়ন করুন – কোন ফসল রাখা যাবে, কোনটি তুলে ফেলতে হবে তা নির্ধারণ করুন।
দ্রুত বেড়ে ওঠা ফসল বপন করুন – যেমন মুগডাল, মাসকলাই, ভুট্টা, তিল, শাক-সবজি।
ধানের ক্ষেত পুনরুদ্ধার করুন – ডুবে যাওয়া ধানক্ষেত শুকিয়ে গেলে প্রয়োজনমতো সার (ইউরিয়া, এমওপি, ডিএপি) প্রয়োগ করুন।

পুকুর ও মৎস্য চাষ
পুকুরের বাঁধ মেরামত করুন – মাছ বের হয়ে যাওয়া ঠেকাতে।
অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করুন – চুন ও লবণ প্রয়োগ করে পানির মান উন্নত করুন।
গবাদিপশুর যত্ন
পশুর থাকার স্থান শুকনো রাখুন – যাতে রোগ না হয়।
পরিষ্কার পানি ও পুষ্টিকর খাবার দিন – যাতে তারা দ্রুত সুস্থ থাকে।
রোগ-বালাই প্রতিরোধ
কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ – জমিতে রোগ-বালাই দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
পানি জমা রোধ করুন – যাতে নতুন করে ফসল নষ্ট না হয়।

পরামর্শ গ্রহণ
স্থানীয় কৃষি অফিসার বা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন।
সমবায় ভিত্তিক কাজ করলে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।
আরও পড়ুন: শীতের আগাম সবজি চাষের এখনই সময়
পানি নেমে গেলে জমি পরিষ্কার রাখা, দ্রুত ফসল রোপণ করা, রোগবালাই প্রতিরোধ করা এবং মাটির উর্বরতা ফিরিয়ে আনা—এসবই কৃষকদের প্রধান করণীয়।
এজেড

