বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ জাহাজের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘গ্রিন শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি: শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)।
বিজ্ঞাপন
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, গ্রিন শিপবিল্ডিং খাত বাংলাদেশের শিল্পায়নের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এজন্য জ্বালানি সাশ্রয়ী ডিজাইন এবং এলএনজি, হাইব্রিড ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার সম্পন্ন জাহাজ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।
আদিলুর রহমান খান বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ জাহাজের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। যে দেশগুলো পরিবেশবান্ধব, স্বল্প-নিঃসরণ জাহাজ তৈরি ও রপ্তানি করতে পারবে, তারাই আগামী দিনের সামুদ্রিক অর্থনীতির নেতৃত্ব দেবে।
শিপইয়ার্ডগুলোর জন্য বৈশ্বিক গ্রিন সার্টিফিকেশন, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য কাস্টমাইজড পরিবেশবান্ধব জাহাজ তৈরির ক্ষেত্রে শিল্ল মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সেমিনার থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী শিপ বিল্ডিং খাতের বাজার ছিল ১৫৫ বিলিয়ন ডলার যেখানে চায়নার মার্কেট শেয়ার ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ, কোরিয়ার ২৮ শতাংশ ও জাপানের ১২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশ এ পর্যন্ত দুইশত মিলিয়ন ডলারের ৫০টি জাহাজ বিশ্বে রপ্তানি করেছে।
বিজ্ঞাপন
সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন আইবিএফবির পরিচালক প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন এবং আইবিএফবির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন রশিদ। আইবিএফবির সভাপতি লুতফুন্নিসা সাউদিয়া খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, আইবিএফবির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী এবং হাফিজুর রহমান খানসহ বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠনের তারা।
এএইচ/ক.ম

