ঋতুচক্র অনুযায়ী এখন গ্রীষ্মকাল। বর্ষাকাল শুরু হওয়ার কথা আর ৯ দিন পর, আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে। তবে প্রকৃতি যেন নিজের ছক নিজেই বদলে ফেলেছে। দেশের প্রায় সর্বত্র এখন প্রতিদিনই হালকা থেকে মাঝারি বা কখনো কখনো ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর এমনকি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেও ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব প্রায় নিয়মিত হয়ে উঠেছে।
আগাম বৃষ্টিপাতের ব্যাখ্যা কী?
আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই আগাম বৃষ্টিপাত ঘটছে। সাধারণত জুনের মাঝামাঝি মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে ধীরে ধীরে বর্ষাকাল শুরু হয়। কিন্তু এবার মে মাসের শেষ দিক থেকেই আকাশের রঙ পাল্টাতে শুরু করে এবং জুনের শুরুতেই বর্ষার মতো আবহ তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
খরার পর বৃষ্টির স্বস্তি, তবে শঙ্কাও
এ বছরের গ্রীষ্মকাল ছিল দীর্ঘ ও রুক্ষ। টানা খরায় পুড়েছে দেশের বহু অঞ্চল। ফলে আগাম বৃষ্টিতে কৃষকরা যেমন আশার আলো দেখছেন, তেমনই দেখা দিয়েছে কিছু শঙ্কাও।
আরও পড়ুন
বৃষ্টির দিনে গাছ লাগানো কি ভালো?
ধান ও অন্যান্য ফসলের জন্য এই বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও বন্যার ঝুঁকি এবং নগরজীবনের জলাবদ্ধতা শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিজ্ঞাপন
প্রকৃতির বার্তা কি পরিষ্কার?
আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনেরই পরোক্ষ প্রভাব কিনা সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে। গত কয়েক বছরে ঋতু পরিবর্তনের স্বাভাবিক চক্রে কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা শুধু বর্ষা নয়, শীত ও বসন্তকেও প্রভাবিত করছে।
বর্ষাকাল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী না এলেও প্রকৃতির সাড়া স্পষ্ট— বর্ষার আভাস ইতোমধ্যেই এসে গেছে। আগাম এই বৃষ্টি যেমন স্বস্তির, তেমনই এটি আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।
এজেড