বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া। এর ফলে দিনের শুরুতেই নজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও নিম্নআয়ের পথচারীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কিছু এলাকায় যানজট আবার কিছু এলাকা ফাঁকা। এর মধ্যে আবার নিচু এলাকাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
বিজ্ঞাপন
রেনকোট গায়ে তেজগাঁওয়ের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাগর হোসেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থামার কোনো নামই নেই। রিকশারও সংকট তাই পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছি অফিসের দিকে।
বিশেষ করে সকালে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা ছিল বেশি। ধানমণ্ডির এক স্কুলের সামনে দেখা যায় অনেক অভিভাবক ছাতা নিয়ে অপেক্ষা করছেন বৃষ্টির মধ্যেও।
সন্তানকে স্কুলে পৌঁছাতে ছাতা নিয়ে রিকশার অপেক্ষায় রয়েছে আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে মিনিটে একটি রিকশা পেতাম এখন ৩০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি কোনো রিকশা পাচ্ছি না। আবার যেগুলো পাচ্ছি তারা দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া চাচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের চরিত্রও পরিবর্তন হয়েছে।
আবদুল মান্নান যে রিকশা চড়েলেন সেই রিকশাচলাকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সকাল থেকে বৃষ্টি, রাস্তায় রিকশা কম আবার ভাড়া কম পাচ্ছি। এজন্য যে দুই একটা ভাড়া পাচ্ছি তা একটু বাড়িয়ে নিচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোমান বলেন, ঢাকায় এসেছি জরুরি কাজে, এসে দেখি বৃষ্টি। কোথাও যেতে পারছি না। এক জায়গায় স্থির হয়ে আছি। আবার রাতের গাড়িতে গ্রামে ফিরতে হবে। আবার যে কাজে এসেছি তা শেষ করতে না পারলেও সমস্যায় পড়ে যেতে পারি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপের প্রভাবে আজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা আরও দু-একদিন স্থায়ী হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের পরামর্শ, প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বের না হন, আর বাইরে গেলে ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
এমএইচএইচ/এএস