প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা প্রাণ ও প্রকৃতির রক্ষাকবচ ‘ন্যাচার ইনসাইটস’ গ্লোবাল ম্যাগাজিনের মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) বঙ্গোপসাগরের তীরে মারমেইড বিচ রিসোর্টে ‘ন্যাচার ইনসাইটস’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এবং ন্যাচার ইনসাইটসের প্রধান সম্পাদক এম জাকির হোসেন খান ও সংগঠনের সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবেশ ও প্রকৃতির পুনরুদ্ধার ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই ম্যাগাজিনটি কেবল একটি প্রকাশনা নয়, বরং এটি একটি চিন্তার উদ্রেক। যা বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক অধিকার সুরক্ষা ভিত্তিক শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক, স্থানিক জ্ঞান আহরণের সুযোগ দেবে।
চেঞ্জ ইিনিশেয়টিভ ও আইএসটিআর-এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত ‘ন্যাচার ইনসাইটস’ এ নদী, বন, বিভিন্ন প্রজাতিসহ প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান রয়েছে। এসব উপাদানকে ‘জড় পদার্থ’ হিসেবে তুচ্ছ না করে যদি ‘অধিকারধারী সত্ত্বা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় তাহলে বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। দ্রুত বদলাতে থাকা বিশ্বে প্রাকৃতিক অধিকারের স্বীকৃতি মানব সমাজকে আরও ন্যায়ভত্তিক, দায়বদ্ধ ও টেকসই করে তুলবে।
ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক এম জাকির হোসেন খানের বলেন, প্রকৃতিকে কেবল শোষণের উৎস হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতেই এই ম্যাগাজিনের যাত্রা। প্রকৃতিকে আমাদের সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। প্রকৃতির অধিকারকে সম্মান করলেই কেবল সত্যিকারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা , নীতি বিশ্লেষণ, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট, মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন, কল্পকাহিনী, কার্টুনসহ নানান ফিচারে সমৃদ্ধ ন্যাচার ইনসাইটস। উল্লেখযোগ্য বিষয়বস্তুর মধ্যে আছে আর্কটিকের বরফ গলার প্রভাব, আফ্রিকার বন সংরক্ষণের সংগ্রাম, সাজেকের গল্প, পরিবেশ রক্ষাকারী কর্মীদের সাক্ষাৎকার, বাস্তুসংস্থানভিত্তিক কল্পকাহিনী ও হাস্যরসাত্মক কার্টুন।
বিজ্ঞাপন
বিইউ/এফএ
