বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট ক্যাম্পে যুক্ত হলো ও.ক্রিডস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট ক্যাম্পে যুক্ত হলো ও.ক্রিডস

আঞ্চলিক জলবায়ু কার্যক্রম এবং যুব নেতৃত্বকে উৎসাহিত করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট ক্যাম্প-২০২৫ এর অংশীদার হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে ও.ক্রিডস লিমিটেড। আগামী ৪ থেকে ৮ জুলাই নেপালের নাগরকোট ও কাঠমান্ডুতে এই ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ঢাকাস্থ ও.ক্রিডসের প্রধান কার্যালয়ে এক আনুষ্ঠানিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ও.ক্রিডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি. মো. শাহাদত হোসেন, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপ্‌স) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কামরুজ্জমান মজুমদার এবং মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।


বিজ্ঞাপন


আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট ক্যাম্প ২০২৫ যৌথভাবে আয়োজন করছে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, ল্যান্ড আওয়ার ফিউচার-নেপাল এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপ্‌স)। এই ক্যাম্পে দক্ষিণ এশিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের ১০০ এর বেশি তরুণ অংশগ্রহণ করবেন।

এতে থাকবে কর্মশালা, মাঠ পরিদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নীতিনির্ধারণী আলোচনা যা জলবায়ু সহনশীলতা, অভিযোজন এবং টেকসই সমাধানকে কেন্দ্র করে আয়োজিত।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ও.ক্রিডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি. মো. শাহাদত হোসেন বলেন, ‘ও.ক্রিডস সবসময়ই উদ্ভাবন ও সহযোগিতার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তৈরিতে বিশ্বাস করে। এই ক্যাম্পে আমাদের সমর্থন সেই টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নেরই অংশ, যা তরুণদের নেতৃত্বেই বাস্তবে রূপ নেবে।’

ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, এই অংশীদারিত্ব আমাদের নীতিনির্ধারণী ও তৃণমূল পর্যায়ে জলবায়ু কার্যক্রমকে আরও সক্রিয় ও কার্যকর করতে সহায়তা করবে। বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্ব বিকাশে অগ্রসর হতে চাই।


বিজ্ঞাপন


মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি বলেন, ও.ক্রিডস আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আমরা গর্বিত। তাদের সহযোগিতায় বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে আসা তরুণদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ক্যাম্পের পরিসর ও প্রভাব আরও প্রসারিত হবে।

এই অংশীদারিত্ব তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশবান্ধব নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্তঃখাত সহযোগিতা একটি সাহসী অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে সমর্থন দিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিষয়ক ও নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন– সিথ্রি-ই-আর (C3ER), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়, কাঠমান্ডু বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।

এমআইকে/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর