জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর যানবাহনের ব্যবহার বন্ধসহ সাত দফা পরিবেশবান্ধব দাবি তুলেছে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’। সংগঠনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই দাবিগুলো জানানো হয়।
গ্রীন ভয়েসের দাবিগুলো হলো—
১. জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর ও পুরাতন যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এসব যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া ঠেকাতে ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২. দুই-স্ট্রোক ইঞ্জিনচালিত যানবাহন পুরো দেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। নদীপাড়ের ইটভাটা ভেঙে ফেলতে হবে। পাশাপাশি কাঠ বা গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪. মাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লক ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহ দিতে হবে। সরকারি প্রকল্পে এসব বিকল্প উপকরণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫. নির্মাণকাজের সময় বায়ু ও শব্দ দূষণ কমাতে ঘের দেওয়া, ঢাকনা ব্যবহার এবং ধুলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিয়ম মানতে হবে।
৬. ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে বায়ুর মান পরিমাপের ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে আগাম দূষণ সতর্কবার্তা জারি করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৭. শুষ্ক মৌসুমে নিয়মিতভাবে রাস্তা ভেজানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে অংশ নেন গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, স্থপতি ইকবাল হাবিব, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের (পরিজা) সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, শিল্পী ও শিক্ষক আবু সেলিম এবং গ্রীন ভয়েসের উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেজা।
এছাড়াও রাজধানীর তেজগাঁও কলেজসহ প্রায় ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা পরিবেশ রক্ষায় দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান এবং পরিবেশবান্ধব নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পরিবেশ দূষণ এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। তাই নীতিনির্ধারকদের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এএসএল/এইউ