বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় খামারিদের ৮ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় খামারিদের ৮ দফা দাবি

দেশের পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় ৮ দফা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইও) খামারিরা।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিপিআইএ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা ১১টার সময় সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি তুলে ধরেন তারা।


বিজ্ঞাপন


এসময় বিপিআইও নেতারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ছোট ও মাঝারি খামারিদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এবং দেশের ডিমের প্রাত্যহিক চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বজায় রাখতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরি। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে উদাসীন।

তারা আরও বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ ডিমের যোগানদার ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা। ডিমের দাম যখন বৃদ্ধি পায়, তখন সরকারের কঠোর নীতির প্রতিফলন দেখা গেলেও যখন খামারিরা লোকসানের মুখে পড়ে তখন সরকারি সংস্থাগুলো নীরব থাকে। এ অবস্থার দ্রুত সমাধান ও টেকসই নীতিমালা চান খামারিরা।

খামারিদের ৮ দফা দাবিগুলো হলো—

১. বর্তমানে ডিমের দামের (ফার্ম গেইট প্রাইস) পতনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের জরুরি ভিত্তিতে নগদ আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। যেহেতু সরকার ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন (কৃষি বিতরণ আইন ২০১৮ অনুসারে) সেহেতু সরকারের উৎপাদনকারী টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ও ডিমের উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশেষ তহবিল গঠন করে স্বল্প (নামমাত্র সুদে) সুদে- দ্রুত সময়ে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের ব্যবস্থা করা যেন এই সকল খামারিরা বর্তমান সংকট কাটিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।


বিজ্ঞাপন


২. কৃষি শিল্পের মত পোল্ট্রি খামারের বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ রিবেট প্রদান ও তার জন্য শর্ত সহজ করা (শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স ও প্রানিসম্পদ অধিদফতরের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে এই সুযোগ প্রদান করা)।

৩. ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সক্রিয়তা।

৪. প্রতি বছর রমজান মাসে সারা দেশে বা লেয়ার ফার্ম ঘন (যেখানে সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয়) জেলাগুলোতে অধিদফতর ও ভোক্তা অধিদফতরের সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং টিমের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে নিবন্ধিত জেনারেল ( ক্ষুদ্র ও মাঝারি) খামারিদের ডিম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।

৫. বর্তমান সময়ে বিভিন্ন উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির বাস্তব প্রেক্ষিতে ডিম মুরগির সরকার ঘোষিত যৌক্তিক দাম অনতিবিলম্বে নির্ধারণ করা।

৬. ডিমের উৎপাদন খরচ কমাতে জেনারেল খামারিদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে পোল্ট্রি শেড নির্মাণ, খাঁচা তৈরি/ক্রয় ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা নির্মাণের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা।

৭. ডিম মুরগির বাজারে ফড়িয়া সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য, ডিম মুরগির বাজার ব্যবস্থায় দক্ষ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

৮. পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমান সমস্যা ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে আগামী দিনে ডিম মুরগির চাহিদা বৃদ্ধির সাথে উৎপাদন ও যোগানের সাথে তাল মিলিয়ে ডিম মুরগির গুনগত মান বজায় রাখা, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ডিম ও মুরগির মাংসের আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানির পথ উন্মুক্ত করতে ‘জাতীয় পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড’ গঠন।

মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সভাপতি শাহ হাবিবুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার মনির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. মহসিন, ট্রেজারার মো. মিজানুল ইসলাম খান প্রমুখ।

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর