ইটভাটা বন্ধ করতে গিয়ে কোনো সহানুভূতি দেখানো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ দূষণ কোনো হালকা নয়, এটি কঠিন অপরাধ মন্তব্য করে উপদেষ্টা এই দূষণকে হালকা করে না দেখতে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় দফতরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের গুরুত্বসহ আইনপ্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজওয়ানা হাসান বলেন, রংপুরে পাহাড় নাই কিন্তু কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সবজি ক্ষেত থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, বনজঙ্গল উজাড় করে মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। একদিনে ইটভাটা বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে বন্ধ করতে হবে। এই ইটভাটা বন্ধ করতে গিয়ে কোনো সহানুভূতি দেখার সুযোগ নেই। এই বিষয়গুলো শক্তভাবে দেখতে হবে।
পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি সংস্থাকে সহযোগিতার কথা বলা হলে, সেই সংস্থা সহযোগিতা করতে বাধ্য।
পলিথিনের বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিন একটা নিষিদ্ধ পণ্য। আগামী তিন মাস সপ্তাহে একটি ক্রাস প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে। বাজারে গিয়ে যেখানে পলিথিন পাওয়া যাবে, সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদনের জায়গা সিলগালা করতে হবে। পলিথিন বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। কেউ যদি পলিথিন বিষয়ে আদালতে মামলা করতে যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সরকারিভাবে দাঁড়াতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, উত্তরাঞ্চলে ইকো ট্যুরিজম সম্ভাবনা রয়েছে। নৌ পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে এই বিষয়ে কাজ হচ্ছে। রংপুর অঞ্চলে অনেক নদী আছে। এই নদীগুলো এখন দূষণমুক্ত হয়নি। নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রেখে কীভাবে ইকো ট্যুরিজম করা যায় বিষয়গুলো দেখা দরকার। সবার অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় আমাদের দেশকে এই বিশ্বকে আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদু্জ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিফ প্রসিকিউটরের উপদেষ্টা এহসানুল হক সমাজী। কর্মশালায় রংপুর বিভাগের জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্রতিনিধি/এমআর