বেশ কিছু দিন ধরে আবহাওয়া স্বাভাবিক আচরণ করছে না। এবার অনেকটা আগেই বিদায় নিয়েছে শীত। ফাল্গুনের মাঝামাঝিতেই কোথাও কোথাও অনুভূত হচ্ছে গ্রীষ্মের মতো গরম। এই অবস্থায় শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এবার আবহাওয়া অধিদফতর জানালো দুঃসংবাদ। চলতি মার্চ মাসে দুটি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। আর মার্চজুড়েই পালিত হবে রমজান। সে হিসেবে রমজানের শেষ ভাগে গরমের ভোগান্তিতে পড়তে পারেন রোজাদাররা।
রোববার (২ মার্চ) আবহাওয়া অধিদফতর মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে অধিদফতর বলছে, চলতি মার্চ মাসে তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এ মাসের ৯ তারিখের পর তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে পারে। মাসের শেষ দিকে এক থেকে দুটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে। এই মাসে কালবৈশাখীর আশঙ্কাও রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসের শেষ দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ মাসের দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে আর এক দিন তীব্র কালবৈশাখীর সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত তাপমাত্রা মোটামুটি কম থাকতে পারে। এরপর বাড়তে থাকবে ধারাবাহিকভাবে।
চলতি মার্চ মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় বা নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া অধিদফতর গত মাসের পরিস্থিতিও তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। আর ফেব্রুয়ারি মাসে তাপমাত্রা ছিল ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টিও হয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ কম।
এদিকে আবহাওয়া নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমও (বিডব্লিউওটি)। সংস্থাটি জানায়, আগামী ৬ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত দেশের আবহাওয়া অনেকটা অত্যধিক চরমভাবাপন্ন থাকতে পারে। বর্তমানেও আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন আছে। চরমভাবাপন্ন বলতে দিন ও রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান অনেক বেশি হওয়াকে বোঝায়। মানে দিনে গরম আর রাতে শীত।
সংস্থাটি জানায়, আগামী ৬ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা ও দেশের আরও কিছু এলাকার আবহাওয়া বেশি চরমভাবাপন্ন হতে পারে। এই সময় এসব এলাকার তাপমাত্রা দিনে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। অপর দিকে রাতে ও ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে নেমে যেতে পারে। মানে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ভেতরে চরম ব্যবধান। এই ধরনের আবহাওয়াতে দুর্বল মানুষেরা জ্বর, সর্দি, কাশি, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
আগামী ১৪ মার্চ থেকে বছরের প্রথম মৃদু তাপপ্রবাহ আসছে বলেও জানায় বিডব্লিউওটি।
জেবি